Advertisement
E-Paper

টি-টোয়েন্টির দ্বৈরথে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রাজকোটে, আতঙ্ক ডিআরএস নিয়ে

আগামী বৃহস্পতিবার এই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই নভেম্বর ৬-৭ তারিখের জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সৌরাষ্ট্র উপকূলের মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৪০
বিতর্ক: ভুল ডিআরএস নিয়ে সমালোচিত ঋষভ। ফাইল চিত্র

বিতর্ক: ভুল ডিআরএস নিয়ে সমালোচিত ঋষভ। ফাইল চিত্র

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছিল দিল্লির বায়ুদূষণ। এ বার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির দ্বৈরথ রাজকোটে। কিন্তু সেই ম্যাচেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভ্রুকুটি রয়েছে। আগের সপ্তাহে এই ঘূর্ণিঝড় ভারতের পশ্চিম উপকূল থেকে কিছুটা দূরে সরে গিয়েছিল। কিন্তু সেই ঝড় আবার দিক পরিবর্তন করে গুজরাত উপকূলের দিকে আছড়ে পড়তে চলেছে। যা ৭ তারিখের ম্যাচে থাবা বসাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আগামী বৃহস্পতিবার এই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই নভেম্বর ৬-৭ তারিখের জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সৌরাষ্ট্র উপকূলের মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে, ঋষভ পন্থের ডিআরএস বিপর্যয়ের পরেও তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে নারাজ রোহিত শর্মা। দিল্লিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সাত উইকেটে হেরে গিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের ইনিংসের দশম ওভারে যুজবেন্দ্র চহালের তৃতীয় বলে পরিষ্কার এলবিডব্লিউ ছিলেন মুশফিকুর রহিম। আম্পায়ার আউট দেননি। ঋষভের পরামর্শেই ভারতীয় দল ‘রিভিউ’ নেয়নি। পরে দেখা যায় ডিআরএস নিলে সিদ্ধান্ত যেত ভারতের পক্ষে।

ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে এই ঘটনা বড় ভূমিকা নেয়। সেই সময় মুশফিকুর ছিলেন ছয় রানে এবং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৬০ করে তিনিই ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয় উপহার দেন বাংলাদেশকে। রোহিতকে ম্যাচের পরে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলে যান, ‘‘ঋষভের বয়স কম। অভিজ্ঞতা ততটা নেই। বুঝে ওঠার সময়টা ওকে দিতে হবে। এত তাড়াতাড়ি বিচার করতে বসে গেলে ঠিক হবে না যে, ও ডিআরএস নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে কি না।’’ যোগ করছেন, ‘‘একা উইকেটকিপারের দোষ ধরাটা ঠিক হবে না। ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রে বোলাররাও আলোচনার অংশ থাকে। অধিনায়ক যদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো জায়গায় না থাকে, তা হলে বাকিদের উপর নির্ভর করতে হয়।’’

একই ওভারে চহালের শেষ বলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারের বিরুদ্ধে জোরালো কট বিহাইন্ডের আবেদন হয়। আম্পায়ার সাড়া দেননি। এ বার পন্থের কথায়, ডিআরএস নেন রোহিত। দেখা যায়, বল ব্যাটে লাগেনি এবং রিভিউ হারায় দল। রোহিত বলছেন, ‘‘বোলার আর উইকেটকিপারের উপরে ভরসা রাখতে হবে। যে কোনও ফর্ম্যাটেই ডিআরএস নেওয়ার সময় এই দু’জনের বক্তব্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’’ এত দিন ভারতীয় দলে ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে এসেছেন। এতটাই অব্যর্থ থাকে তাঁর অনুমান ক্ষমতা যে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধোনির কথায় ডিআরএস নিয়ে সফল হয়েছে দল। উইকেটের পিছনে ধোনির না থাকা এই সব সিদ্ধান্তের সময়েও টের পাচ্ছেন রোহিতরা।

তবে বাংলাদেশের কাছে রাজধানীতে হারের কারণ হিসেবে ফিল্ডিং এবং বোলিংকেই দায়ী করছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। বলছেন, ‘‘১৪৮ রান জেতার মতোই ছিল। ফিল্ডিং ভাল হলে পারতাম। কয়েকটা সিদ্ধান্ত আমরা ঠিক নিইনি।’’ রোহিত সে ভাবে তুলে না ধরলেও ব্যাটিংয়ে কোনও ধার না থাকার দিকটা খুবই প্রকট হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ভারতকে। প্রথম ওভারেই আউট হয়ে যান রোহিত। অন্য ওপেনার শিখর ধওয়ন রান পেলেও মন্থর ব্যাটিং করেছেন। তাঁর ৪২ বলে ৪১ মোটেও টি-টোয়েন্টি সুলভ ইনিংস নয়। রোহিত যদিও বলছেন, ‘‘প্রথম ওভারে উইকেট হারানোর পর কাজটা একটু কঠিনই হয়ে যায়। ওই পিচে শট নেওয়াও সহজ ছিল না।’’

Cricket India Bangladesh T20 Rajkot
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy