নেরোকা এফসি ০ ইস্টবেঙ্গল ২
দুই অর্ধেই গোল করলেন তিনি। লাল-হলুদের এই মেক্সিকোবাসী ফুটবলার এনরিকে এসকুয়েদার সৌজন্যেই আই লিগের প্রথম ম্যাচে নেরোকা এফসি-কে হারিয়ে অভিযান শুরু করল ইস্টবেঙ্গল।
কলকাতা লিগে খেলতে পারেননি লাল-হলুদ জার্সি গায়ে। কিন্তু কলকাতায় আসার পরে অনুশীলনেই নজর কেড়েছিল এনরিকের ছটফটানি এবং গোল করার তাগিদ। শনিবার আই লিগে তাঁর অভিষেক ম্যাচে সেটাই ফের দেখালেন এসকুয়েদা।
প্রথম গোল মনোজ মহম্মদের থ্রো থেকে। যা বিপক্ষ ডিফেন্ডারের মাথায় লেগে বেরিয়ে আসার সময় বুক দিয়ে নামিয়ে গোল করে যান এনরিকে। দ্বিতীয় গোল পেনাল্টি থেকে। স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। তাই প্রথম গোলের পরে জার্সির ভিতরে বল ঢুকিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে।
মেক্সিকোর অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য এনরিকে। ২০০৫ সালে পেরুতে এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তাঁরা। জিওভান্নি ডস স্যান্টোসদের এই সতীর্থের ডাক নাম ‘পালেটা’। স্প্যানিশ ভাষায় যার অর্থ ললিপপ। যে নাম তাঁকে দিয়েছিলেন মেক্সিকোর অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলার ব্লাঙ্কোর ভাই। অতীতে মাথায় ঝাঁকড়া চুলের জন্যই তাঁর এই ডাক নাম। ব্লাঙ্কোর সঙ্গে মেক্সিকো সিটির ক্লাব আমেরিকায় খেলেওছেন এনরিকে।
তবে এ দিন জোড়া গোল করে দলকে জেতালেও ড্রেসিংরুমে ফিরে বিশেষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়নি এনরিকে-কে। সতীর্থদের বুঝিয়ে দেন, আই লিগ জিতলে তবেই হবে বিজয় উৎসব।
এনরিকের মতোই ম্যাচ জিতে উচ্ছ্বাসে ভাসতে নারাজ ইস্টবেঙ্গলের স্পেনীয় কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস। কলকাতা লিগের সময় গ্যালারিতে বসে দেখেছেন শেষ পর্বের দিকে খেতাব হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া। তাই পাহাড় থেকে প্রথম ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে এসেও নির্লিপ্ত ইস্টবেঙ্গল কোচ। বলছেন, ‘‘নিজেদের দক্ষতার চল্লিশ শতাংশ খেলেছি আজ। দল জিতলে যে কোনও কোচের মতোই আমিও খুশি। তবে বল দখলে রাখা, প্রতি-আক্রমণ এবং রক্ষণ সংগঠনে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।’’
গত কয়েক বছর ধরেই উত্তর-পূর্ব ভারতে ম্যাচ খেলতে গিয়ে জয়ের ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তাই লাল-হলুদ শিবিরের ঘাড়ে অদৃশ্য ভাবেই চেপে ধরেছিল পাহাড়-আতঙ্ক। আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচও সেই উত্তর-পূর্ব ভারতের দল শিলংয়ের লাজং এফসি-র বিরুদ্ধে (১ নভেম্বর)। শনিবার এনরিকের জোড়া গোলে ইম্ফল থেকে জিতে ফেরার পরে শিলংয়েও কি জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে। জানতে চাওয়া হলে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলছেন, ‘‘আত্মবিশ্বাস তো অবশ্যই বাড়বে। এই জয় প্রেরণাও দেবে। ম্যাচ যেখানেই হোক না কেন, জিততেই হবে। এই চিন্তাভাবনাই থাকা উচিত।’’