বিধ্বংসী অনন্ত। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
কোচবিহারের ২০ বছর বয়সি মিডিয়াম পেসারের দাপটে ১৩৪ রানেই শেষ হয়ে গেল মহমেডান স্পোর্টিং। তাদের ইনিংসে হারাল কালীঘাট ক্লাব। রবিবার সিএবি প্রথম ডিভিশন লিগে। আগের ইনিংসে এক উইকেট নিলেও এই ইনিংসে সাতটা উইকেট নিয়ে প্রায় একাই শেষ করে দেন অনন্ত সাহা। সিএবি লিগে দিনটা ছিল বোলারদের। অন্য মাঠে ইস্টবেঙ্গলকেও ইনিংস জয় এনে দেন বোলার বি অমিত। সাত উইকেট নিয়েই। ছয় উইকেট নিয়ে বিবেকানন্দ যাদবও ইনিংসে জেতান জর্জ টেলিগ্রাফকে। ভবানীপুরের অরিত্র চট্টোপাধ্যায়ও এরিয়ানের বিরুদ্ধে ছ’উইকেট নেন এ দিন।
বাংলার ক্রিকেটের নতুন আশা, উঠতি এই মিডিয়াম পেসার কোচবিহার থেকে উঠে আসা আর এক তারকা পেসার শিবশঙ্কর পালের দেখানো পথে হাঁটছেন। দরকার হলেই ছুটে যান ‘ম্যাকোদা’-র কাছে বোলিংয়ের টিপস নিতে।
কালীঘাট প্রথমে ৪৮৭-৮ তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয় এই ম্যাচে। ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারি করেছিলেন ১৬৫। জ্বর-সর্দি-কাশিতে পড়ে যাওয়ায় এ দিন অধিনায়ক মাঠে আসতে না পারলেও তাঁর দল জয় ছিনিয়ে নেয় অনায়াসে। এবং তাঁর বেশিরভাগ কৃতিত্বই অনন্তর, যিনি অনূর্ধ্ব ১৯ ও ২৩ দু’বিভাগেই বাংলার হয়ে খেলেছেন। মহমেডান প্রথমে ১৮৯-এ অলআউট হয়ে ফলোঅন করে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৪-এ অল আউট হয়ে যায়। অনন্ত বলেন, ‘‘প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের তেমন ফ্রন্টফুটে খেলাতে পারিনি। এই ইনিংসে সেটাই করতে পারলাম বলে ফল পেলাম।’’
ও দিকে এক সময় বাংলার সিনিয়র দলের হয়ে খেলা বি অমিতের সাত উইকেটের বোলিংয়ের দাপটে দ্বিতীয় ইনিংসে পোর্ট ট্রাস্ট ২৪৫-এ অল আউট হয়ে যায়। ইস্টবেঙ্গল জেতে ইনিংস ও ৮৪ রানে। বিবেকানন্দ যাদবও হাফ ডজন উইকেট নেওয়ায় জর্জ ইনিংস ও ৭৩ রানে হারায় বিএনআর-কে। অন্য দিকে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে শ্যামবাজার চার পয়েন্ট পেল খিদিরপুরের বিরুদ্ধে। শ্যামবাজারের ৪১২-র জবাবে খিদিরপুর মাত্র ছ’রান কম (৪০৬) তুলে অল আউট হয়ে যায়। আর এরিয়ানের বিরুদ্ধে ভবানীপুর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ ওভারে ৪১২ তুলেও দু’পয়েন্টের বেশি পায়নি।
অন্য খেলায়: রবিবার বড়িশা জনকল্যাণ সঙ্ঘ পরিচালিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অক্সফোর্ড মিশন মাঠে অংশ নিল প্রতিবন্ধী, অনাথ, পথশিশু মিলিয়ে বারোশো জন। অনুষ্ঠানে ছিলেন অলিম্পিয়ান গুরবক্স সিংহ, দোলা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোমা বিশ্বাসরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy