বাঁ-হাতের কব্জিতে অলিম্পিক্সের পঞ্চবলয়ের ট্যাটু। সঙ্গে টেবল টেনিসের জোড়া ব্যাট।
কমনওয়েলথ গেমসে টেবল টেনিসের দলগত বিভাগে সোনাজয়ী সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় মঙ্গলবার সকালেই উড়ে যাচ্ছেন সুইডেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ দিতে। তার আগে সোমবার বিকেলে কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে নৈহাটির মেয়ে ফাঁস করলেন তাঁর এই ট্যাটুর রহস্য। বললেন, ‘‘যুব অলিম্পিক্সে পদক জিতেছি। কমনওয়েলথ গেমসেও সোনা পেলাম। এ বার লক্ষ্য অলিম্পিক্স। তার জন্যই এই ট্যাটু।’’
সুইডেনের হাল্মস্তাদ শহরে ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে টেবল টেনিসের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। চলবে ৬ মে পর্যন্ত। সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কলকাতা ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা আগে সুতীর্থা বলছেন, ‘‘গ্রুপে চিন, সিঙ্গাপুর, রাশিয়া, সুইডেন ও বেলারুশ রয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে শক্ত প্রতিপক্ষ চিন। যদি গ্রুপে আমরা দ্বিতীয় হতে পারি, তা হলে দু’বছর পরে টোকিও অলিম্পিক্সে দলগত বিভাগে অংশ নিতে পারবে ভারত। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য সেটাই।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘সদ্য সমাপ্ত কমনওয়েলথ গেমসে যে পারফরম্যান্স করেছে ভারতীয় মহিলা টেবল টেনিস দল, তাতে পদক জয়ের আশা করাই যায়। নিজের সেরাটা দিতেই উড়ে যাচ্ছি সুইডেন।’’
গোল্ড কোস্টে কমনওয়েলথ গেমসে দলগত বিভাগে সোনা জেতার পথে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন সুতীর্থা। ফলে মৌমা দাস, মানিকা বাত্রাদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় কোনও সমস্যা হতে পারে কি না তা জানতে চাইলে সুতীর্থা বলছেন, ‘‘এর আগেও ওদের সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। আমাদের মধ্যে ভাল বন্ধুত্ব রয়েছে। ফলে বোঝাপড়ায় কোনও সমস্যা হবে না।’’
সুতীর্থার সঙ্গে এ দিন ক্রীড়া-সাংবাদিক ক্লাবের তাঁবুতে হাজির ছিলেন তাঁর কোচ সৌম্যদীপ রায়। তাঁর কথায়, ‘‘দেশে টেবল টেনিসের লিগ চালু হওয়ায় বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম সারির খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাওয়ার সুফল মিলছে। ছয়-সাত বছর বয়স থেকেই খেলোয়াড়দের তুলে আনতে হবে অ্যাকাডেমিতে। সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে বাংলা থেকেই আগামী ছয় বছর পরে টেবল টেনিসে অলিম্পিক্সের পদকজয়ী খেলোয়াড় পাওয়া যাবে।’’