অভিযান: জার্মানির আত্মঘাতী গোল। উল্লাস গ্রিজ়ম্যানদের। ছবি রয়টার্স।
ফ্রান্স ১ • জার্মানি ০
অনবদ্য ফ্রান্স। প্রত্যাশা মতোই জার্মানিকে হারিয়ে ইউরো কাপে যাত্রা শুরু করল ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।
২০১৬ সালের ইউরো কাপের সেমিফাইনালে জার্মানিকেই ২-০ হারিয়েছিল ফ্রান্স। জোড়া গোল করেছিল আঁতোয়া গ্রিজ়ম্যান। এ বারের আরও বেশি শক্তিশালী। কারণ, কিলিয়ান এমবাপে, করিম বেঞ্জামার মতো দুই ভয়ঙ্কর স্ট্রাইকার রয়েছে দলে। নেপথ্যে রয়েছে দিদিয়ে দেশঁ-র মতো অসাধারণ ফুটবলার ও কোচের মস্তিষ্ক। তাই বল দখলের লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে থেকেও জার্মানি জিততে পারল না ফরাসি কোচের নিখুঁত চালে।
জার্মানির বিরুদ্ধে দেশঁ দল সাজিয়েছিলেন ৪-৩-৩ ছকে। সামনে এমবাপে, গ্রিজ়ম্যান ও বেঞ্জেমা। কিন্তু ম্যাচ শুরু হওয়ার পরে দেখা গেল আসলে ডায়মন্ড সিস্টেমে খেলছে ফ্রান্স। এনগোলো কান্তে, পোগবা ও গ্রিজ়ম্যান ত্রয়ী হল দেশঁ-র তিন প্রধান অস্ত্র। ডায়মন্ড সিস্টেমে পুরো দল যেমন একসঙ্গে আক্রমণে ওঠে, তেমনই বিপক্ষকে আটকানোর জন্য সকলকে নেমে আসতে হয় রক্ষণে। পুরো ম্যাচে এই কাজটাই নিখুঁত ভাবে করে গেল ফ্রান্সের ফুটবলারেরা। খেলাটা দেখতে দেখতে আমার বারবার প্রয়াত কোচ অমল দত্তর কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল।
স্যাজ় নাব্রিকে সামনে একা রেখে ৩-৪-২-১ ছকের উপরে আস্থা রেখেছিলেন জার্মান কোচ ওয়াকিম লো। বুঝলাম না টিমো ওয়ের্নার, লেরয় সানের মতো ফুটবলারকে কেন শুরু থেকে খেলালেন না তিনি। ম্যাচের প্রথম পাঁচ মিনিট ফ্রান্সের ফুটবলারেরা যেন বিপক্ষেকে মেপে নিচ্ছিল। তার পরে ধীরে ধীরে খেলাটা ধরতে শুরু করল। ১৫ মিনিটে কান্তের পাস থেকে নেওয়া বাঁজামা পাভার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। পোগবা বাঁ-প্রান্তে বল বাড়িয়েছিল লুকাস হার্নান্দেসকে। বায়ার্ন মিউনিখের এই ডিফেন্ডার জার্মানির পেনাল্টি বক্সের মধ্যে সেন্টার করে এমবাপের উদ্দেশে। বল বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেয় আড়াই বছর পরে জার্মানির জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটানো ম্যাটস হুমেলস। এই গোলের দু’মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল থোমাস মুলার। কিন্তু বায়ার্ন স্ট্রাইকারের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে ন্যাব্রি, ইকেই গুন্দোয়ানও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy