Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
প্রয়াত বাবার বার্তাই প্রেরণা

অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ: মিডফিল্ডার খুমানথেম নিনথই মিতাই

বুধবার থেকেই গুরুগ্রামে শেষ পর্বের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে ভারতীয় দল। অনুশীলনের ফাঁকে আনন্দবাজার-কে নিনথই বলল, ‘‘আমি মণিপুর ফিরলে বাবা আমাকে বিমানবন্দরে নিতে আসতেন।

খুমানথেম নিনথই মিতাই

খুমানথেম নিনথই মিতাই

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:২২
Share: Save:

ভারতীয় ফুটবল দলে খেলার স্বপ্ন পূরণ অধরাই থেকে গিয়েছিল মাংলেম্ব মিতাই-এর। মণিপুরের ইম্ফলে মাছ বিক্রি করে কোনও মতে সংসার চালাতেন তিনি। প্রবল আর্থিক সংকটের মধ্যেও অবশ্য ছেলে খুমানথেম নিনথই মিতাইকে ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি তিনি।

নিনথই-এর লক্ষ্য ছিল, তাইকোন্ডু খেলোয়াড় হওয়ার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বাবার ইচ্ছেতেই ফুটবল বেছে নিয়েছিল। তবে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ছেলেকে খেলতে দেখার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল মাংলেম্ব-এর। মাস দু’য়েক আগেই শেষ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন ভারতীয় মিডফিল্ডারের বাবা। কিন্তু মনঃসংযোগ নষ্ট হবে বলে পরিবার কেউ সেটা নিনথোই-কে জানাননি। অসুস্থতার মধ্যেও ছেলের মোবাইল ফোনে ‘ভয়েস মেসেজ’ পাঠিয়ে মাংলেম্ব উদ্বুদ্ধ করতেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, খেলা দেখতে দিল্লি যাবেন বলেও।

বুধবার থেকেই গুরুগ্রামে শেষ পর্বের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে ভারতীয় দল। অনুশীলনের ফাঁকে আনন্দবাজার-কে নিনথই বলল, ‘‘আমি মণিপুর ফিরলে বাবা আমাকে বিমানবন্দরে নিতে আসতেন। কিন্তু মেক্সিকো সফর সেরে কয়েক দিনের ছুটিতে মণিপুরে পৌঁছে দেখলাম, বাবা আসেননি। আমার এক কাকা এসেছেন। বাড়ি ফিরে দেখলাম, বাবা প্রচণ্ড অসুস্থ। কথাও বলতে পারছেন না। তখনও বুঝতে পারিনি, সপ্তাহখানের মধ্যেই বাবার মৃত্যুর খবর শুনব।’’ সঙ্গে যোগ করল, ‘‘প্রবল আর্থিক সংকটের মধ্যেও বাবা বলতেন, তুমি শুধু খেলায় মন দাও। আমি সব সামলে নেব। বাবার জন্যই তাইকোন্ডু ছেড়ে ফুটবল খেলা শুরু করি। অথচ, জাতীয় দলে আমাকে খেলতে দেখার স্বপ্ন বাবার অপূর্ণই থেকে গেল। এই কারণেই বিশ্বকাপে নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE