শিক্ষক: স্বপ্নের পিছনে ছোটো, পরামর্শ সচিনের। —ফাইল চিত্র
অনূর্ধ্ব ১৯ মুম্বই দলের হয়ে অভিষেক হয়ে গিয়েছে তাঁর। অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলের হয়ে দুটি টেস্টও খেলেছেন। এ বার ‘টি-টোয়েন্টি মুম্বই’ ক্রিকেট লিগের হয়ে সিনিয়রদের মঞ্চে পা রাখতে চলেছেন অর্জুন তেন্ডুলকর।
কিন্তু সিনিয়র ক্রিকেটে পা রাখার জন্য টি-টোয়েন্টি কি আদর্শ মঞ্চ হতে পারে? সচিন তেন্ডুলকরের জবাব, ‘‘খেলায় কিছুই আগাম ধরে নেওয়া যায় না। যখন যে সুযোগটা আসবে, কাজে লাগাতে হবে। নিজের সেরাটা দিতে হবে।’’ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সচিন বলেন, ‘‘এই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এমন একটা মঞ্চ, যেখানে লোকে আপনাকে দেখবে। এই মঞ্চে ভাল খেলতে পারলে দারুণ জায়গায় পৌঁছনো যায়।’’
পাশাপাশি সচিন ছেলেকে এটাও মনে করিয়ে দিতে চান, একটা ব্যর্থতা স্বপ্নকে শেষ করে দেয় না। সব সময় একটা ‘আগামিকাল’ থাকে, যেখানে আরও শক্তিশালী হয়ে ফেরা যায়। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ক্রিকেটের প্রতি আবেগ, ভালবাসা যদি একই রকম থাকে, তা হলে সাফল্য-ব্যর্থতা আমার কাছে বড় হবে না। ক্রিকেটে ওঠা-পড়া থাকে। কিন্তু রোজ সকালে উঠে স্বপ্নের পিছনে ছোটার কারণ খুঁজে নিতে হবে অর্জুনকে। স্বপ্নটা হল ক্রিকেট খেলা আর বিশেষ কিছু করতে পারা।’’
ছেলের কথা বলতে গিয়ে নিজের ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছেন সচিন। তুলে এনেছেন তাঁর বাবা রমেশ তেন্ডুলকরের উদাহরণ। বলেছেন, ‘‘বাবা এক বার আমাকে বলেছিলেন, ‘যদি তুমি কোনও শর্টকাট অবলম্বন না করো, তা হলে ফল পাবেই।’ আমিও অর্জুনকে সে পরামর্শই দেব। বাকি কিছু নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই।’’ অর্জুনকে নিয়ে আরও একটা কথা বলছেন সচিন। ছেলেকে বলবেন, ‘‘মাঠে নামো আর যে কাজটা তুমি সব চেয়ে ভাল পারো, সেটা করো। ও যদি সবার কাছে ভাল এক জন সতীর্থ, এক জন ভাল মানুষ হয়ে ওঠে, সেটাই সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হবে।’’
সচিনের ধারণা, মুম্বই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ শুধু আইপিএল খেলার রাস্তা হবে না, সেই সব ক্রিকেটারকেও প্রচারের আলোয় এনে দেবে যাঁরা দীর্ঘদিন স্থানীয় ক্রিকেট খেলেও আড়ালে থেকে গিয়েছেন। সচিন বলছেন, ‘‘তিন জন তরুণের কথা বলতে পারি, যারা গত বছর এই প্রতিযোগিতায় ভাল খেলে আইপিএল দল পেয়েছে। এরা হল, শুভম রঞ্জনে, শিবম দুবে আর সুশান্ত সিংহ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy