ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা। ছবি: রয়টার্স
আবার উইম্বলডনে দেখা গেল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ছায়া। টেনিস কোর্টকে এই যুদ্ধ থেকে আলাদা করাই যাচ্ছে না। রবিবার মহিলাদের চতুর্থ রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিলেন বেলারুসের ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা এবং ইউক্রেনের এলিনা সোয়াইতোলিনা। সেই ম্যাচের পরেই দর্শকদের আচরণ নিয়ে দু’রকম মত দিয়েছেন দুই খেলোয়াড়।
তিন সেটে আজারেঙ্কার হারের পর দর্শকেরা বিদ্রূপাত্মক শিস দিতে থাকেন। হতাশায় বিরক্তি প্রকাশ করেন বেলারুসের খেলোয়াড়। ম্যাচের পর দর্শকদের উদ্দেশে তোপ দেগেছেন তিনি। অভিযোগ করেছেন, মত্ত অবস্থায় খেলা দেখতে এসেছিলেন তাঁরা। আজারেঙ্কা বলেছেন, “গত ১৮-১৯ মাসে এ রকম ব্যবহার পেয়েই চলেছি। কিন্তু আমি তো কোনও ভুল করিনি। তবু এ রকম আচরণ করা হয়। দর্শকদের নিয়ে নতুন করে আর কী বলব। একটা ভাল টেনিস ম্যাচ হল। যদি হাত মেলানো নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ থেকে থাকে তা হলে কিছু বলার নেই। আমার মনে হয় অনেকেই মত্ত অবস্থায় খেলা দেখতে এসেছিলেন। ল্জ্জার ব্যাপার।”
প্রসঙ্গত, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়া বা বেলারুসের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ম্যাচের আগে বা পরে হাত মেলান না এলিনা। আয়োজকদেরও এ ব্যাপারে কোনও আপত্তি নেই। রবিবারের ম্যাচে দর্শকদের নিয়ে সম্পূর্ণ উল্টো কথা শোনা গিয়েছে এলিনার মুখে। বলেছেন, “দর্শকাসনে ইউক্রেনের অনেকে ছিলেন। খুব ভাল লাগছে ওদের সামনে জিততে পারে। আমার খেলা অন্যতম সেরা ম্যাচ।”
তাঁর সংযোজন, “আমি আগেই বলেছি, রাশিয়া যত দিন না আমার দেশ ছেড়ে যাবে তত দিন আমি ওই দেশের কোনও খেলোয়াড়ের সঙ্গে হাত মেলাব না। টেনিস সংস্থাগুলোরও উচিত এ ব্যাপারে বিবৃতি দিয়ে জানানো। যাতে রাশিয়া বা বেলারুসের কোনও খেলোয়াড়ের সঙ্গে ইউক্রেনের খেলোয়াড়েরা হাত না মেলায়।”
উল্লেখ্য, ফরাসি ওপেনে এ ভাবেই হাত না মেলানোর জন্য এলিনা নিজে বিদ্রূপের শিকার হয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে তাঁর কথায়। বলেছেন, “প্রতিটা ম্যাচের সময়েই এ রকম বিদ্রূপ হয়। অনেকেই জানে না আমাদের দেশে কী চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy