Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ধোনির দেওয়া উপহারটা মনে রেখে দেবেন কোহালি

কিংগ কোহালি বা ক্যাপ্টেন ফিয়ারলেস নয়, ড্রেসিংরুমে তিনি ‘দ্য জোকার’ হিসেবে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। আধুনিক ক্রিকেটের স্টাম্পগুলো বড্ড দামি, তাই ক্যাপ্টেন হয়ে প্রথম সিরিজ জয়ের স্মারক হিসেবে ওগুলো রাখতে পারেননি। বদলে পেয়েছেন আরও মূল্যবান কিছু— পূর্বসূরির সই করা ম্যাচ বল।

শহর ছাড়ছেন কোহালি। সোমবার সকালে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস

শহর ছাড়ছেন কোহালি। সোমবার সকালে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪৮
Share: Save:

কিংগ কোহালি বা ক্যাপ্টেন ফিয়ারলেস নয়, ড্রেসিংরুমে তিনি ‘দ্য জোকার’ হিসেবে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন।

আধুনিক ক্রিকেটের স্টাম্পগুলো বড্ড দামি, তাই ক্যাপ্টেন হয়ে প্রথম সিরিজ জয়ের স্মারক হিসেবে ওগুলো রাখতে পারেননি। বদলে পেয়েছেন আরও মূল্যবান কিছু— পূর্বসূরির সই করা ম্যাচ বল।

ইডেনে শেষ ওয়ান ডে হারলেও তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ জিতেছেন বিরাট কোহালি। সরকারি অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ওয়ান ডে সিরিজ জয়। যার পর বোর্ডের ওয়েবসাইটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বভাবসিদ্ধ খোলামেলা ভারত অধিনায়ক।

সিরিজ জয়ের স্মারক কী নিলেন, সেই প্রশ্নে যেমন বিরাট বলে দিচ্ছেন, ‘‘দ্বিতীয় ম্যাচের পর এমএস আমাকে ম্যাচ বলটা দিয়ে দিয়েছিল। আজকাল স্টাম্প খুব দামি হয়ে গিয়েছে, তাই ওগুলো আমাদের নিতে দেয় না। তো এমএস আমাকে বলটা দিয়ে বলল, ক্যাপ্টেন হিসেবে এটা আমার প্রথম সিরিজ জয়, তাই এটা স্মরণীয়। ওই মুহূর্তটা আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল ছিল। কখনও ভুলব না। বলটা ওকে দিয়ে সইও করিয়ে নিয়েছি।’’

শুনে মনে হবে জাতীয় অধিনায়ক নয়, কথাগুলো বলছেন ভারতের কোনও ক্রিকেট পাগল সমর্থক। কিন্তু পরক্ষণেই বিরাটের ক্যাপ্টেন-সত্ত্বাটা বেরিয়ে আসে। যখন তিনি বলতে থাকেন, ‘টিম ভাঙাগড়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে’ জাতীয় অজুহাত তাঁর একান্ত অপছন্দের। ফলাফল ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে চান না তিনি। কোহালির কথায়, ‘‘আমার টিম চরিত্র দেখিয়েছে, প্রমাণ করেছে যে তারা স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে চায়, দেশের হয়ে ম্যাচ জিততে চায়।’’

যে ব্যাপারটা ভীষণ খুশি করেছে বিরাটকে। ‘‘এর চেয়ে ভাল অনুভূতি হয় না। যত বার আমরা চাপে পড়েছি, তত বার কেউ না কেউ এগিয়ে এসেছে। বিশেষ করে কেদার যাদব আর হার্দিক পাণ্ড্যর মতো তরুণরা,’’ বলে দিয়েছেন সগর্ব অধিনায়ক।

সিরিজের তিনটে মুহূর্ত বিশেষ ভাবে মনে রেখে দিতে চান কোহালি। পুণেয় প্রথম ম্যাচে কেদার যাদবের ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে যুবরাজ-ধোনি পার্টনারশিপ এবং ডেথ ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার। এবং ইডেনের শেষ ম্যাচে কেদার-হার্দিকের লড়াকু জুটি। শেষোক্ত নিয়ে বিরাটের মন্তব্য, ‘‘টিমের সব অভিজ্ঞ প্লেয়ার আউট হয়ে যাওয়ার পর ওরা যে ভাবে পার্টনারশিপটা করল, তা-ও আবার কঠিন উইকেটে, সেটা আমার কাছে দুর্দান্ত ব্যাপার।’’

প্রথম ম্যাচে ক্রিস ওকসকে তিনি ব্যাকফুটে যে ছক্কাটা মেরেছিলেন, সেটা নিয়ে এখনও আলোচনায় মগ্ন ক্রিকেটবিশ্ব। কী ভাবে মারলেন ওই শটটা? বিরাটের সহাস্য উত্তর, ‘‘জানি না। তখন একটা ছন্দ এসে গিয়েছিল। তার সঙ্গে এই মোটিভেশনটাও কাজ করছিল যে, দেশকে জেতাতে হবে। কত বলে কত রান করতে হবে, সেটা মাথায় ছিল। তা ছা়ড়া বলটাও ওই জায়গায় পেয়ে গেলাম।’’ তাঁর আরও ব্যাখ্যা, ‘‘এর আগে কখনও ও রকম শট খেলিনি। ওটা ঠিকঠাক খেলতে পেরে নিজেকে নিজেই অবাক করে দিয়েছিলাম। ওটা এমন একটা শট যা মনে থেকে যাবে। পরে বলতে পারব, আমার সঙ্গে স্পেশ্যাল যা যা হয়েছিল তার মধ্যে এটাও আছে।’’

কিংগ কোহালি না ক্যাপ্টেন ফিয়ারলেস? ক্রিকেটবিশ্বে ঘোরাঘুরি করা দুটো নামের মধ্যে কোনটা বেশি পছন্দ বিরাটের? কোনটা তাঁকে বেশি মানায়? জবাবে কোহালির মসৃণ ড্রাইভ, ‘‘আমার পছন্দ ড্রেসিংরুমের জোকার হয়ে থাকা!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE