শাহিদ আফ্রিদি পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেনের কুর্সি ছেড়েছেন চব্বিশ ঘণ্টাও হয়নি। এ বার পাকিস্তানের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ওয়াকার ইউনিস। চুক্তি শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই।
সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর যে ভাবে সমালোচনায় ধুইয়ে দেওয়া হচ্ছে গোটা টিমকে, তাতে কোচ ও ক্যাপ্টেনের উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছিল। তাই চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত দু’জনকেই সরে দাঁড়াতে হল বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিন লাহৌরে ওয়াকার বলেছেন, ‘‘আমি পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। মনের মধ্যে অসম্ভব একটা বোঝা রয়ে গেল।’’ সঙ্গে ওয়াকার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে পিসিবিকে দেওয়া তাঁর রিপোর্ট ফাঁস হওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘আমি চাই যে সুপারিশগুলো করেছি তা মানা হোক। ২০১৫-এ প্রথম যখন সুপারিশ করেছিলাম সেগুলো মানা হয়নি।’’
২০১০-’১১-র পর ৪৪ বছর বয়সি কিংবদন্তি পাক পেসার ২০১৪-এ দ্বিতীয় বারের জন্য পাক কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর টেস্ট ক্যাপ্টেন মিসবা উল হকের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাকিস্তানকে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে দু’নম্বরে তুলে আনেন। যা পাকিস্তান শেষ বার পৌঁছেছিল ২০০৬-এ। তবে টি-টোয়েন্টিতে সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারেননি ওয়াকার। আট দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান সাতে শেষ করে। গোটা টুর্নামেন্টে শুধু বাংলাদেশকে ছাড়া আর কোনও দলকে হারাতে পারেননি আফ্রিদিরা।
তাঁর ফাঁস হওয়া রিপোর্টে এই বিপর্যয়ের জন্য ওয়াকার দল নির্বাচনে তাঁর ভূমিকা না থাকার জন্য পিসিবির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। সঙ্গে আফ্রিদির অধিনায়কত্বেরও। ‘‘আমরা নিউজিল্যান্ড, এশিয়া কাপ আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খারাপ নেতৃত্বের জন্য হেরেছি। বহু বার আমি পরিষ্কার জানিয়েছি শাহিদ আফ্রিদি ব্যাটে, বলে বা ক্যাপ্টেন হিসেবে পারফর্ম করতে পারছে না। কিন্তু আমার কথা শোনা হয়নি,’’ এমনই নাকি বলেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়। ওয়াকার রিপোর্টে আরও নাকি জানিয়েছিলেন, ‘‘২০১৫ বিশ্বকাপের পর আমি প্রচুর সুপারিশ করেছিলাম। তার মধ্যে এমনও সুপারিশ ছিল যে কিছু ক্রিকেটারকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে পাঠানো হোক। অন্তত একটা মরসুমের জন্য। যাতে তাদের খিদেটা আরও বাড়ে। পাকিস্তানের জার্সিতে মাঠে নামার গুরুত্বটা আরও ভাল করে টের পায়। কিন্তু আমার কোনও সুপারিশই মানা হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy