দুই শিবির, দুই ছবি। আজ হারলে অঙ্কের বিচারেও ছিটকে যাবে পুণে। বিশাখাপত্তনমে প্র্যাকটিসে নামছেন ধোনি। মুম্বইকে হারানোর পর ‘নেহরাজি’-কে নিয়ে যুবরাজদের কেক পার্টি। ছবি টুইটার
আমাদের এই বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে যে, টানা চারটে ম্যাচ জিততে পারলে আমরা এখনও প্লে-অফের যুদ্ধে থাকতে পারি। হতে পারে চারটে জয় যথেষ্ট হবে না। তবু বিশ্বাসটা ধরে রাখতে হবে। কারণ এই টুর্নামেন্টের মানচিত্র যে কোনও মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে। আজ, মঙ্গলবারের ম্যাচে জয়ের চাপটা অবিশ্বাস্য। আমাদের সামনে আর সুযোগ নেই, জানি।
এ বছর টিমের চোটের তালিকাটা বিশাল। এমন একটা মরসুম যেখানে মোড় ঘুরলেই আরও একটা চোট অপেক্ষা করে থাকছে। এর জন্য আমরা টানা একটা সেট টিম ধরে রাখতে পারিনি। টিমের কম্বিনেশন নষ্ট হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে ছন্দের উপরেও। তার উপর আমাদের ভাগ্যে এমন কয়েকটা ক্লোজ ম্যাচ ছিল যেগুলো যে কোনও দিকে যেতে পারত। চারটে ম্যাচ শেষ ওভারে হারার জায়গায় আমরা চারটে ম্যাচ শেষ ওভারে জিততে পারতাম।
বেঙ্গালুরুতে আমাদের হাত থেকে একজন ম্যাচটা বের করে নিয়ে গেল। বিরাটের দুর্দান্ত ইনিংস সত্ত্বেও আমরা বিপক্ষের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু পরিস্থিতিতে ওরা বেশি ভাল লড়েছে।
তবে ইতিবাচক ব্যাপারটা হল যে, এতগুলো হার আর চারজন প্রধান প্লেয়ারকে হারানোর পরেও আমরা লড়াইয়ে টিকে আছি। এর জন্যই এই টিমটার উপর আমার বিশ্বাস আছে। এই মরসুমের প্লেয়ারদের যদি আমরা ধরে রাখতে পারি, তা হলে পুণেও একটা চ্যাম্পিয়ন টিম হতে পারে। চেন্নাইয়ের সংস্কৃতি ছিল দলগত ভাবে লড়াই করা। এই টিমেই সেই স্পিরিট আছে। অজিঙ্ক রাহানে বারবার দলের সাহায্যে এসেছে। আমাদের ফোকাস হল ব্যাটসম্যানদের স্কোরের মর্যাদা দেওয়ার মতো ভাল বোলিং করা।
আজ, মঙ্গলবার সামনে হায়দরাবাদ। স্বাভাবিক ভাবেই চাইব ডেভিড ওয়ার্নারকে তাড়াতাড়ি ফেরাতে। তবে এ বারের টুর্নামেন্টে অন্যতম সেরা বোলিং দল হচ্ছে হায়দরাবাদ। ওরা যে টেবলের উপরে আছে, তার অন্যতম কারণ বিপক্ষকে অল আউট করে দিতে পারার ক্ষমতা। তাই ওয়ার্নারকে দ্রুত আউট করাটা যুদ্ধের অংশমাত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy