ধরাশায়ী প্রতিপক্ষ। ছবি: পিটিআই।
২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে যোগেশ্বর দত্তের পর রিওয় সাক্ষী মালিক। দ্বিতীয় ভারতীয় কুস্তিগীর হিসাবে রেপেশাজের মাধ্যমে অলিম্পিক্সের মঞ্চে ব্রোঞ্জ জিতলেন সাক্ষী। চলতি অলিম্পিক্সে দেশকে এনে দিলেন প্রথম পদক। অলিম্পিক্সের বিভিন্ন ইভেন্টে পদক জয়ের রাস্তা বিভিন্ন। শুধু কুস্তির ক্ষেত্রেই রয়েছে ব্রোঞ্জ জেতার জন্য রেপেশাজ রাউন্ড।
কী সেই রেপেশাজ রাউন্ড যার মধ্যে দিয়ে ব্রোঞ্জ পেলেন সাক্ষী?
কুস্তিতে বিভিন্ন রাউন্ডে হেরে যাওয়া প্রতিযোগীরা ব্রোঞ্জের জন্য দ্বিতীয় একটি সুযোগ পান। তবে শর্ত একটাই। যাঁর বিরুদ্ধে হারলেন, সেই কুস্তিগীরকে ফাইনালে উঠতেই হবে। ফাইনালে ওঠা দুই প্রতিযোগীর কাছে প্রথম রাউন্ড থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত হেরে যাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিয়ে তৈরি হয় দুটি গ্রুপ। দু’টি ব্রোঞ্জ পদকের জন্য লড়াই করে দুই ফাইনালিস্টের হেরে যাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
সাক্ষীর ক্ষেত্রেও ঘটেছে একই রকম ঘটনা। মহিলাদের ফ্রিস্টাইলে ৫৮ কিলোগ্রাম বিভাগে কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়ার ভ্যালেরিয়া কবলোভার কাছে হেরে যান তিনি। পরে ফাইনালে ওঠেন কবলোভা। আর তখনই ব্রোঞ্জের জন্য লড়াইয়ের সুযোগ এসে যায় সাক্ষীর সামনে। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ওঠায় রেপেশাজে দু’টি লড়াই জিতলেই পদক নিশ্চিত ছিল হরিয়ানার কুস্তিগীরের। প্রথম রাউন্ডে তেমন বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু রেপেশাজে দ্বিতীয় রাউন্ডে, পদকের চূড়ান্ত লড়াইয়ে, ০-৫-য়ে পিছিয়ে গিয়েছিলেন সাক্ষী। সেখান থেকে দুরন্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮-৫ পয়েন্টে জিতে ব্রোঞ্জ পান সাক্ষী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy