(বাঁ দিকে) কার্লোস আলকারাজ়ের সঙ্গে রাফায়েল নাদাল। ছবি: রয়টার্স।
গত মাসেই উইম্বলডনে তাঁদের দু’জনের দ্বৈরথের সাক্ষী ছিলেন টেনিসপ্রেমীরা। সেই ম্যাচে স্পেনের কার্লোস আলকারাসের দাপটের সামনে একতরফা হেরেছিলেন সার্বিয়ার তারকা নোভাক জোকোভিচ। এ বার অলিম্পিক্স সোনা জয়ের লড়াইয়ে সম্মুখ সমরে নামবেন দুই প্রজন্মের দুই মহাতারকা।
শুক্রবার জোকোভিচ সেমিফাইনালে ইটালির লোরেঞ্জো মুসেট্টিকে ৬-৪, ৬-২ ফলে হারিয়ে প্রথম বারের জন্য ফাইনালে উঠলেন। অন্য দিকে, আলকারাস হারালেন কানাডার ফেলিক্স উজ়ে আলিয়াসিম-কে। ম্যাচের ফল স্পেনীয় তারকার পক্ষে ৬-১, ৬-১। নোভাকের ঝুলিতে গ্র্যান্ড স্ল্যাম রয়েছে ২৪টি। আলকারাসের সেখানে চার।
মহাদ্বৈরথের আগে জোকোভিচ বলেন, “এই মুহূর্তে আলকারাসকে হারানো আমার কাছে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হতে চলেছে।” প্রতিপক্ষ আলকারাস বলেছেন, ‘‘জীবনে এমন মুহূর্তও যে আসবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি। ছোটবেলা থেকে অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের স্বপ্ন দেখেছি। ফাইনালে নিজের সমস্ত শক্তি উজাড় করে দেব সোনা জয়ের জন্য।’’
স্পেনের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিক্স টেনিসের ফাইনালে উঠলেন আলকারাস। সেই তথ্য মনে রেখে ২১ বছরের তারকা বলেছেন, ‘‘শেষবার সোনা জিতেছিলেন আমার প্রেরণা রাফায়েল নাদাল। আমি সেই মুহূর্ত আবার ফিরিয়ে আনতে চাই। আমি নিশ্চিত, প্যারিস খালি হাতে কখনওই ফেরাবে না।’’
ম্যাচ শেষ হতে জোকোভিচ স্বীকারও করেন যে, তিনি কিছুটা স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন। এমনকি চেয়ার আম্পায়ার তাঁকে সময় নষ্টের জন্য একাধিকবার সতর্কও করেন। কিন্তু নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে ম্যাচে জয় হাসিল করেন সার্বিয়ার মহাতারকা। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে কোর্টের মধ্যেই শুয়ে পড়তে দেখা যায়। চিচিপাস এবং মুসেট্টিকে হারানোর পরে জোকোভিচের সামনে এ বার সেন্টার কোর্টে হারের জবাব দেওয়ার লড়াই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy