কী কারণে কলকাতা হকি লিগে বার বার ঝামেলা হচ্ছে? প্রতীকী ছবি
ফুটবল বা ক্রিকেট নিয়ে কলকাতার ময়দান অনেক উত্তেজক দিন দেখেছে। কিন্তু হকির দু’টি ম্যাচকে ঘিরে কলকাতা ময়দান যে ভাবে রক্তাক্ত হল, তা অতীতে কবে হয়েছে, কেউই মনে করতে পারছেন না। প্রথমে রবিবার ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচ, তার পর বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গল বনাম পঞ্জাব স্পোর্টস ম্যাচ। এই দু’টি ম্যাচকে ঘিরেই ময়দান উত্তপ্ত হয়ে উঠল।
কী কারণে কলকাতা হকি লিগে বার বার ঝামেলা হচ্ছে? আনন্দবাজার অনলাইনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বেশ কিছু তত্ত্ব।
প্রথমত, হকি নিয়ে সাধারণ মানুষের আলাদা করে উৎসাহ না থাকলেও ডার্বির দিন মাঠে অন্তত হাজার দুয়েক মানুষ ছিলেন। দিনটা ছিল রবিবার, অর্থাৎ ছুটির দিন। ময়দানের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা বলছেন, শুধু হকি কেন, কোনও ভলিবল ম্যাচ থাকলেও রবিবার ময়দান ভরে যায়। ফলে লোক হওয়া কোনও ব্যাপারই না। তার উপর ছিল ডার্বি ম্যাচ। ২২ বছর পর দু’দলের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে প্রচারও হয়েছিল বিস্তর। ফলে লোক জমতে দেরি হয়নি।
দ্বিতীয়ত, কলকাতা হকি লিগের আয়োজক হকি বেঙ্গলের সভাপতি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মোহনবাগানেরও ফুটবল সচিব। শোনা যাচ্ছে, তিনি ‘দায়িত্ব’ নিয়ে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করাতে না পারলে কৃতিত্ব থাকবে না। তাই তিনিই নাকি ঝামেলা পাকিয়েছেন। অভিযোগ শুনে স্বপনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ।
তৃতীয়ত, পঞ্জাব স্পোর্টস এবং ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের সময় পঞ্জাব দলটির অভ্যন্তরীণ ঝামেলারও গন্ধ পাচ্ছেন কেউ কেউ। পঞ্জাব স্পোর্টসের মধ্যে নাকি দু’টি শিবির রয়েছে। তার মধ্যেই একটি শিবির ইস্টবেঙ্গলের দল তৈরি করেছে। তাই ম্যাচের দিন রেষারেষি এড়ানো যায়নি এবং ঝামেলা হয়েছে।
চতুর্থত, আরও একটি তত্ত্ব উঠে এসেছে যে, পঞ্জাব স্পোর্টসের অপর শিবির নাকি মোহনবাগানের দলও তৈরি করেছে। মোহনবাগান যাতে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে তাই ঝামেলা তৈরি করা হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে।
পঞ্চমত, পঞ্জাব স্পোর্টসের আগের কোচ এখন ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসাবে যুক্ত। এখানেও চলে এসেছে অভ্যন্তরীণ ঝামেলার তত্ত্ব। শেনা যাচ্ছে, পঞ্জাব স্পোর্টসের একাংশের কাছে নাকি বিরাগভাজন হয়ে উঠেছেন ওই কোচ। ফলে দুই দলের ম্যাচে ঝামেলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy