কখনও নীরজ চোপড়া, কখনও সাইনা নেহওয়াল, বা কখনও মীরাবাই চানু। অলিম্পিক্সে পদক জিতে তাঁদের দেখা গিয়েছে, পদক কামড়াচ্ছেন। শুধু ভারতীয় ক্রীড়াবিদ নন, মাইকেল ফেল্পস, উসেইন বোল্টের মতো কিংবদন্তিরাও পদক জিতে তাতে কামড় দিয়েছেন। অলিম্পিক্সে পদক জিতে কেন তাতে কামড় দেন জয়ীরা? নেপথ্যে কি কোনও বিশেষ কারণ রয়েছে?
১৯১২ সালের আগে পর্যন্ত অলিম্পিক্সে পদকজয়ীদের দেওয়া হত সোনার পদক। সেই সময় জয়ীরা পদকের সোনা যাচাই করার জন্য এই কাজ করতেন। পদকে সোনা নিখাদ হলে তাতে দাঁতের দাগ বসে যায়। যদি তাতে খাদ থাকে তা হলে দাঁতের দাগ বসে না। সেই কারণেই প্রতিযোগীরা সোনা যাচাই করে নিতেন। কে সেই কাজ শুরু করেছিলেন তা জানা যায় না। তবে বেশির ভাগ জয়ীকেই দেখা যেত পদক কামড়াতে।
আরও পড়ুন:
১৯১২ সালের পর থেকে অলিম্পিক্সে নিখাদ সোনার পদক দেওয়া হয় না। স্টিলের পদকের উপর সোনার পাতের মোড়ক থাকে। তাই সোনা যাচাই করার কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু ধীরে ধীরে সেটি রীতিতে পরিণত হয়েছে। কোনও প্রতিযোগী পদক পাওয়ার পরেই তাতে কামড় দেন। অনেকে বলেছেন, অলিম্পিক্সের আগে যে পরিশ্রম করতে হয়, ঘাম ঝরাতে হয় তার পুরস্কার এই পদক। সেই কারণে, পদক কামড়ান তাঁরা। পদককে আরও নিজের করে নেন তাঁরা।
আরও একটি কারণ অবশ্য রয়েছে। তা হল পদক নিয়ে ভাল ছবি তোলা। ফেল্পস, বোল্টদের পদক কামড়ানোর ছবি খেলাপ্রেমীদের মনে গেঁথে রয়েছে। সেই জায়গায় নিজেদেরও নিয়ে যেতে চান তাঁরা। সেই কারণে, পদক জেতার পরে তা কামড়াতে দেখা যায় জয়ীদের।