Advertisement
E-Paper

হুঙ্কার ছাড়লেও প্লাজ়ার চিন্তায় আকোস্তা ও জবি

ম্যাচ জিতলেই আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দল ধরে ফেলবে লিগ শীর্ষে থাকা চেন্নাই সিটি এফসি-কে।

দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:১৬
আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন চার্চিল ব্রাদার্সের ক্যারিবিয়ান স্ট্রাইকার উইলিস ডিওন প্লাজ়া।—ফাইল চিত্র।

আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন চার্চিল ব্রাদার্সের ক্যারিবিয়ান স্ট্রাইকার উইলিস ডিওন প্লাজ়া।—ফাইল চিত্র।

লাজং এফসি-কে ৫-০ উড়িয়ে দেওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে ধেয়ে এল এক ক্যারিবিয়ানের হুঙ্কার। আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন চার্চিল ব্রাদার্সের ক্যারিবিয়ান স্ট্রাইকার উইলিস ডিওন প্লাজ়া। রবিবার যুবভারতীতে আই লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্লাজ়ার দল চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। যে ম্যাচ জিতলেই আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দল ধরে ফেলবে লিগ শীর্ষে থাকা চেন্নাই সিটি এফসি-কে।

নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে প্লাজ়ার হুঙ্কার, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আমাকে গোল করতেই হবে। প্রথম পর্বে গোয়ায় এই ম্যাচটায় শুরুতে দলকে এগিয়ে দিয়েও হেরে ফিরেছিলাম। তাই এ বার শুধু গোল নয়। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে চাই। সুযোগ নষ্ট করা চলবে না।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ আমাদের কাছে ‘ডু অর ডাই’। তিন পয়েন্ট কোনও ভাবেই হারানো চলবে না। আর আমাদের হারালে কিন্তু ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দিকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে।’’

গত মরসুমেও ইস্টবেঙ্গল জার্সি গায়ে খেলে গিয়েছেন ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর এই স্ট্রাইকার। কিন্তু ছন্দে ছিলেন না। তাই গত বছর জানুয়ারিতে প্লাজ়াকে ছেড়ে দেয় লাল-হলুদ শিবির। কিন্তু দল পাল্টে গোয়ার চার্চিল ব্রাদার্সের জার্সি গায়ে চলতি মরসুমে ঝলমল করছেন তিনি। আই লিগে এ পর্যন্ত ১৭ ম্যাচে ১৭ গোল করে গোলদাতাদের শীর্ষে রয়েছেন সেই প্লাজ়াই।

চলতি আই লিগে বারবার চোখ টেনেছে বল-সহ ও বল ছাড়া প্লাজ়ার দুরন্ত গতি। যা কাজে লাগিয়ে বিপক্ষের গোলের সামনে দু’তিন জনকে অনায়াসে কাটিয়ে গোলের মুখ খুলে ফেলছেন এই ফুটবলার। দু’পায়ে রয়েছে গোলার মতো শট। হেডটাও ভাল। মাঠের প্রান্ত কিংবা মাঝখান— দু’জায়গা দিয়েই বল নিয়ে তরতর করে এগিয়ে যান গোলের দিকে।

আত্মবিশ্বাসী গলায় প্লাজ়া বলে দিলেন, ‘‘আমার মতো স্ট্রাইকার এই মুহূর্তে ভারতে ক’জন আছে? মাটিতে বা শূন্যে বল দখলের লড়াইয়ে হারব না। বল নিয়ন্ত্রণে রাখা আমার মজ্জাগত ব্যাপার। সেটা রবিবার দেখিয়ে দিতে হবে। বিপক্ষ জানে, প্লাজ়া কী রকম ফুটবলার।’’

গত বছর এই প্লাজ়াই একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে খলনায়কে পরিণত হয়েছিলেন। অনেক ম্যাচে ফাঁকা গোলেও বল ঠেলতে পারেননি। সেই ফুটবলার বছর পাল্টাতেই কী ভাবে এ বার ছন্দে ফিরলেন?

চার্চিলের গোলমেশিন এ বার বলে দেন, ‘‘গত বছর মাঠে ও মাঠের বাইরে অসম্ভব চাপের মধ্যে ছিলাম। ক্যানসারে ভুগছিলেন আমার দাদা কার্ল্যান্ড। ছোটবেলা থেকে দাদাই আমার সব। বুট কিনে দেওয়া থেকে কোচের কাছে নিয়ে যাওয়া—সব দাদার হাত ধরেই। সেই দাদার মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার কষ্টটা মানসিক ভাবে নিতে পারিনি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তার উপর নিজে চোট-আঘাতে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলাম। শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় তাই লাল-হলুদ জার্সি গায়ে সেরা খেলাটা মেলে ধরতে পারিনি। সাত মাস আগে দাদা মারা গিয়েছেন। সেই শোক সামলে উঠেছি। চাপটা এখন আর নেই। চোট-আঘাতও কাটিয়ে উঠেছি। তাই এখন গোল আসছে। আই লিগে এ বার কলকাতায় এসে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছিলাম। সেখান থেকেই বুঝতে পারি, এই বছরটা আমার হতে চলেছে।’’

রবিবার তাঁর বিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে প্রথমে কিছু বলতে চাইছিলেন না। চাপাচাপি করতে বললেন, ‘‘এই ইস্টবেঙ্গলে সমীহ করি দু’জনকে। প্রথম জন জনি আকোস্তা। রক্ষণে যেমন নেতৃত্ব দিয়ে খেলছে, তেমনই ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের সূচনাও হচ্ছে ওর পা থেকেই। দ্বিতীয় জন ভারতে আমার প্রিয় বন্ধু জবি জাস্টিন। এই মুহূর্তে ও কিন্তু নিয়ম করে গোল করছে। তাই রবিবার এই দু’জনকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাচ্ছি আমরা।’’

Football I League 2018-19 East Bengal Churchill Brothers Willis Plaza
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy