পাঁচ বছর পর শিলচরে ফের শুরু হচ্ছে মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতা। রবিবার বিকেল তিনটেয় স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে উদ্বোধন হবে। এ বারের টুর্নামেন্টে ৪টি দল খেলবে। পর পর ছ’দিনে ছ’টি ম্যাচ হবে। ফাইনাল ১৬ মে।
এতদিন এই টুর্নামেন্ট বন্ধ থাকার নানা কারণ দেখান আয়োজকরা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব বাবুল হোড় জানান, রাজ্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এ বার মহিলা ফুটবলে শিলচর চ্যাম্পিয়ন হয়। এর পরেই নতুন করে এই প্রতিযোগিতা চালুর ব্যাপারে তাঁরা উদ্যোগী হন। বাবুলবাবুর বক্তব্য, এই টুর্নামেন্ট থেকেই ফের শিলচরে মহিলা ফুটবলার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হল। এখান থেকেই খেলোয়াড় বাছাই করা হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি বাদল দে জানান, জেলায় মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০০৬ সালে শুরু হয়। পাঁচ বছর নাগাড়ে চলে। সেখান থেকেই মহিলা ফুটবলে জেলা দল তৈরি হয়। তারা নানা জায়গায় প্রতিনিধিত্বও করেছে। এমনকী, এই অঞ্চলের মেয়ে দয়াবতী সিংহ ও রাজশ্রী কর্মকার জাতীয় দলের ট্রায়ালেও ডাক পেয়েছিলেন। বেশ ক’জন ফুটবলার এরই মধ্যে খেলোয়াড় কোটায় রাজ্য পুলিশে চাকরিও পেয়েছেন।
তৈমুর রাজা চৌধুরী ও শিথিল ধরও আজ মহিলা ফুটবল নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। মূলত তাঁদের উদ্যোগেই ১০ বছর আগে টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল। এতদিন পরও প্রতিযোগী দলের সংখ্যা না বাড়ায় তাঁরা আক্ষেপ করেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সচিব শিথিলবাবু বলেন, মেয়েদের নিয়ে সমস্যা। প্রথমত, আমাদের সমাজে মেয়েরা ফুটবলের জন্য আসে না। দ্বিতীয়ত, ক’জনকে বহু কষ্টে বের করা গেলেও দু’বছর পর পড়ার চাপ বেড়ে যায় বলে মাঠে নিয়মিত আসতে পারে না। তার ক’দিন পরই দেখা যায়, বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়ছে তারা। ফলে মহিলা ফুটবলার তৈরির সময়ই মেলে না।
তবু তৈমুরবাবুরা আশাবাদী, রাজ্য ক্রীড়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তাঁরা যেমন টুর্নামেন্ট আয়োজনে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছেন, তেমনি নাগাড়ে ভাল করা গেলে শিলচরের মেয়েরা ফুটবল খেলতে মাঠেও আসবে।