Advertisement
E-Paper

চ্যাম্পিয়ন করতে চাই, বলছেন তিনশোর নায়ক

জীবনে প্রথম বার এই মাইলস্টোনে পৌঁছনোর অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঋতম বলেন, ‘‘এটা আমার প্রথম ডাবল ও ট্রিপল সেঞ্চুরি। এর আগে কখনও এই মাইলস্টোনে পৌঁছতে পারিনি। সত্যিই অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে আমার। খুবই ভাল লাগছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:২৬
পুরস্কৃত: তিনশো রান করে দিনের নায়ক ঋতম পোড়েল। —নিজস্ব চিত্র।

পুরস্কৃত: তিনশো রান করে দিনের নায়ক ঋতম পোড়েল। —নিজস্ব চিত্র।

সিএবি প্রথম ডিভিশন ক্রিকেট লিগে বিস্ময় ইনিংস ভবানীপুর ক্লাবের ঋতম পোড়েলের। ভবানীপুর মাঠেই নেতাজি সুভাষ ইন্সটিটিউটের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনে ৩২২ বলে ৩০৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেন তিনি। তাঁর ব্যাটিংয়ের দাপটে ১১৫ ওভারে ৬২৭ রান করেছে ভবানীপুর ক্লাব।

প্রথম দিনের শেষে ২১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এর আগে কখনও দ্বিশতরানের মাইলস্টোনে পৌঁছতে পারেননি ঋতম। তাই একই ইনিংসে প্রথম ডাবল ও ট্রিপল সেঞ্চুরি করার অনুভূতি নিয়ে বাড়ি ফিরবেন কোন্নগরের ২৮ বছর বয়সি ক্রিকেটার।

জীবনে প্রথম বার এই মাইলস্টোনে পৌঁছনোর অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঋতম বলেন, ‘‘এটা আমার প্রথম ডাবল ও ট্রিপল সেঞ্চুরি। এর আগে কখনও এই মাইলস্টোনে পৌঁছতে পারিনি। সত্যিই অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে আমার। খুবই ভাল লাগছে। তবে ম্যাচটা জিততে পারলে আরও ভাল লাগবে।’’

ছোটবেলায় হাওড়া জেলায় থাকতেন ঋতম। সাত বছর বয়সে বাবা সুব্রত পোড়েলের কাছেই প্রথম ব্যাট ধরতে শিখেছেন। ২০১০ সালে কর্নেল সি কে নাইডু ট্রফির সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। সেখান থেকেই রঞ্জি ট্রফিতে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।

২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালে বাংলার হয়ে নিয়মিত রঞ্জি ট্রফি খেলেছেন ঋতম। তবে সেই দল থেকে বাদ পড়ার পরে কোনও আক্ষেপ নেই এই বঙ্গ ক্রিকেটারের। তিনি বলেন, ‘‘যে দলেই খেলি না কেন আমার সেরা পারফরম্যান্সটা দেওয়ার চেষ্টাই করি। বাংলার হয়েও যখন খেলতাম তখনও একই মানসিকতা নিয়ে খেলতাম। তবে বাদ পড়ায় কোনও আক্ষেপ নেই। শুধু ভাল খেলে যেতে হবে।’’

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডান হাতে মিডিয়াম পেস করেন ঋতম। নেতাজি সুভাস ইন্সটিটিউটের বিরুদ্ধে এই ইনিংস গড়ার সময় কি কোনও আলাদা পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি? ঋতমের স্পষ্ট উত্তর, ‘‘ইনিংসের শুরু থেকেই ব্যাটের মাঝখানে বল লাগছিল। তবে বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে ব্যাট করিনি। প্রথম দিনে ডাবল সেঞ্চুরি করার পরেও লক্ষ্য স্থির ছিল। তাই হয়তো জীবনের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিটাও একই ইনিংসে পেয়ে গেলাম।’’

প্রথম বার ট্রিপল সেঞ্চুরির পরে সেলিব্রেশনটা কি করতে চাইবেন? ‘‘উৎসব করার অনেক সময় রয়েছে। কিন্তু আপাতত ম্যাচটা জেতাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’’ নেতাজি সুভাষ ইন্সটিটিউটের রান ৪৭.৪ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ২১৭। তা হলে তৃতীয় দিনের মধ্যে কি ওদের আরও ১৬টা উইকেট ফেলা সম্ভব?, ‘‘কেন সম্ভব নয়। ম্যাচে ট্রিপল সেঞ্চুরি হতে পারলে এটাও সমান ভাবে সম্ভব।’’

সিএবির প্রথম ডিভিশনে এই মরসুমে শুরুটা বেশ ভালই করেছেন ঋতম। ট্রিপল সেঞ্চুরির ইনিংস ছাড়াও একটি সেঞ্চুরি ও একটি ম্যাচে ৯৭ রানে আউট হতে হয়েছে তাঁকে। তা হলে কি রঞ্জি ট্রফিতে কি আবার খেলতে দেখা যেতে পারে কোন্নগরের ঋতমকে? হেসে বলে উঠলেন, ‘‘এত কিছু ভাবতে চাই না। শুধু নিজের সেরা দিয়ে যাব।’’ তা হলে সামনের লক্ষ্যটা কি?, ‘‘প্রথম ডিভিশনে ভবানীপুর ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করাই এখন আমার মূল লক্ষ্য।’’

Writam Porel cricket triple century Bhawanipur Cricket Club
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy