প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর শেষ তেরো ইনিংসে সেঞ্চুরি তো দূর অস্ত, পঞ্চাশের মুখ একবারও দেখেননি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন ওয়ান ডে সিরিজে ভারতীয় দলে ডাক পাননি। এহেন আবহে জীবন এবং বাইশ গজ, দু’জায়গাতেই বহু যুদ্ধের জয়ী নায়ক যুবরাজ সিংহ ১৪তম ইনিংসটাকে পঞ্জাব-মধ্যপ্রদেশ রঞ্জি ম্যাচের প্রথম দিনই টেনে নিয়ে গেলেন ১৬৪-তে। এবং অপরাজিত ফিরলেন ড্রেসিংরুমে। যুবরাজের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিলেন গুরকিরত সিংহ (১০২ বলে ১০১ নট আউট)। দু’জনের বিধ্বংসী পার্টনারশিপে একটা সেশনের মধ্যেই ওঠে ১৫২ রান। যার দাপটে লাহলিতে প্রথম দিনের শেষে পঞ্জাব ৩৪৭-৩। যেটা এই ভেনুতে কোনও ম্যাচের প্রথম দিনের শেষে সর্বোচ্চ স্কোর। যুবরাজেরা ভেঙে দিলেন রাজস্থানের বিরুদ্ধে হরিয়ানার তোলা ৩৩৯-কে।
পঞ্জাবের এ দিন পড়া তিন উইকেটের দু’টো নেন ঈশ্বর পাণ্ডে। কিন্তু তিনি বা সতীর্থ কোনও বোলারই যুবরাজের পিটুনির থেকে বাঁচতে পারেননি। ২৪১ বলে ২৪ বাউন্ডারিতে সাজানো যুবরাজের ২৫তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি তাঁর কেরিয়ারের একটা মাইলফলকে পৌঁছনোর যোগ্য ঝলমলে। দিনের শেষে যুবরাজদের দলের ইনিংস যতই আরও বড় রানের দিকে এগোনোর ইঙ্গিত দিক, সকালে তিনি কিন্তু ক্রিজে এসেছিলেন বেশ খারাপ অবস্থায়। লাহলির সবুজ পিচে পঞ্জাব তখন ১৫-২। কিন্তু যুবরাজ প্রথমে ওপেনার জিওয়ানজিৎ সিংহের (৬১) সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৮০ রান যোগ করেন। তার পরে দিনের বাকি সময়টা চলে অবিচ্ছেদ্য চতুর্থ উইকেটে যুবরাজ-গুরকিরত জুটির আক্রমণ।
জাতীয় দল থেকে সদ্য ছিটকে পড়া যুবরাজ তাঁর প্রত্যাবর্তনের ইনিংসের প্রতিক্রিয়া মাত্র একটা বাক্যে দিয়েছেন এ দিন। কিন্তু অনুজ পার্টনার গুরকিরতের সেঞ্চুরির ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলে দেন, ‘‘সবুজ উইকেটে দুর্ধর্ষ আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেছে গুরকিরত। আমার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস এটা। ও সিরিয়াস চ্যাম্পিয়ন।’’ আর নিজের ইনিংস প্রসঙ্গে? ‘‘ভিন্টেজ যুবি সিংহ ইনিংস,’’ বলেন যুবরাজ।
এ দিকে, এ দিন ইডেনে কেরল বনাম হিমাচল প্রদেশ রঞ্জি ম্যাচ মাঠ ভিজে থাকায় প্রায় ঘণ্টাদেড়েক বাদে শুরু হয়। বোলারদের রান আপের জায়গা ভিজে ছিল। সারা দিনে ৭৩ ওভারের বেশি খেলা চালানো সম্ভব হয়নি। কেরল করে ১৬৩-৪। সঞ্জু স্যামসন ৪৭।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy