২২ গজের লড়াইটা আসলে শুরু হয়েছিল কেকেআর-হায়দরাবাদের মধ্যেই। কিন্তু সেটা বদলে গেল যুবরাজ সিংহ বনাম কুলদীপ যাদবে। আর সেই লড়াইয়ে বাজিমাত অবশ্যই যুবরাজ সিংহর। লড়াই আর লড়াই। অনেক সমালোচনা। ছিটকে গিয়েও ফিরে আসা। কখনও নির্বাচকদের সঙ্গে কখনও ক্যান্সারের সঙ্গে। সবই রয়েছে যুবরাজ সিংহর দীর্ঘ এই ক্রিকেট জীবনে। কিন্তু হতাশায় ডুবে নিজের স্বপ্নকে মরে যেতে দেননি যুবরাজ সিংহ। তারই প্রতিফলন আরও একবার দেখা গেল আইপিএল-এর প্লে-অফের ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। দু’দিন আগেই জাতীয় দল ঘোষণা হয়েছে। সেখানেও জায়গা হয়নি। সেই হতাশাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাই নিজের সেরাটা দিতেই মাঠে নেমেছিলেন যুবি।
যখন সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে রীতিমতো সমস্যায় ফেলছে কুলদীপের বল তখনই শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন যুবরাজ। শুধু তাই নয় তাঁর ৪৪ রানের ইনিংসের মধ্যে ৩৭ রানই আসে কুলদীপের ১৩ বলে। এই কুলদীপের বলেই তার আগে প্যাভেলিয়নে ফিরেছেন ওয়ার্নার, এনরিকসের মতো ব্যাটসম্যান। হুদাকে প্যাভেলিয়নে পাঠিয়েছেন রান আউট করে। তাঁর শেষ শিকার কাটিং। যখন নাইট শিবিরে কুলদীপকে নিয়ে উচ্ছ্বাস তখনই তাঁকেই বেছে নিলেন যুবরাজ রান করার জন্য। ৩০ বলে ৪৪ রান করে আউট হন যুবি।
যুবরাজ যখন ব্যাট করতে আসেন তখন ১০ ওভারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৭১/৩। এর পরই হাল ধরেন যুবরাজ। যুবরাজের ৪৪ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৮টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারিতে। যুবরাজের ব্যাটিংয়ের মান রাখলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ৪ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট। কঠিন সময়ে বল হাতে বাজিমাত তাঁরই। যদিও জাতীয় দলে জায়গা হয়নি যুবরাজের। আইপিএল শেষে আবার নতুন লড়াই শুরু হবে জানেন তিনি। তবুও নিজেকে উজাড় করে দিতে চান সানরাইজার্সের হয়ে। এর পর সামনে বিরাট কোহালির বেঙ্গালুরু। আইপিএল ফাইনাল।
আরও খবর
গুজরাতের বিরুদ্ধে মুস্তাফিজই ভরসা ওয়ার্নারের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy