আস্থা: হার্দিককে নিয়ে প্রবল আশাবাদী যুবরাজ। ফাইল চিত্র
তাঁর হাত ধরেই ২০১১ বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। ৯ ম্যাচে ৩৬২ রান ও ১৫ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন যুবরাজ সিংহ। আসন্ন ২০১৯ বিশ্বকাপে যুবির আশা, চমক হয়ে উঠতে পারেন ভারতের হার্দিক পাণ্ড্য।
চলতি আইপিএলে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন হার্দিক। ইডেনে নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলে মুম্বইকে জয়ের আশা দিয়েছিলেন। শেষ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও সুপার ওভারে দলকে জেতান তিনি। তাই হয়তো যুবরাজ মনে করেন, বিশ্বকাপেও এই ছন্দ ধরে রাখবেন তরুণ অলরাউন্ডার।
যুবরাজ বলেছেন, ‘‘গত কালই হার্দিকের সঙ্গে আমার আলোচনা হচ্ছিল। ওকে বলেছি, বর্তমানে যে ছন্দে রয়েছে, সেটাই বিশ্বকাপে চালিয়ে যেতে। নিজেকে তুলে ধরার এটাই বড় সুযোগ। যদিও বোলিং নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। কিন্তু বিশেষ মুহূর্তে ভাল বোলিং করে দিতে পারে। আমার বিশ্বাস, বিশ্বকাপে ও এ ভাবেই চালিয়ে যাবে।’’
যুবরাজ জানেন, চাপ সামলানোর কৌশল রপ্ত করে ফেলতে পারলে অনেকটাই কাজ হয়ে যায়। বলছিলেন, ‘‘চাপ সামলাতে জানলে আর বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। বিশ্বকাপে পুরোটাই নির্ভর করে কতটা চাপ একজন সামলাতে পারছে তার উপর। হার্দিক সেটা খুব ভালই পারে। তা ছাড়া যে ভাবে ও ব্যাট করে চলেছে, তা দেখে যে কোনও দল আতঙ্কে থাকবে। ওকে বলেই দিয়েছি, এই বিশ্বকাপ ওর জীবনে বিশেষ মুহূর্ত নিয়ে আসবে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে দেখছি যে, ও ভাল শট নিতে পারছে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলে দিতেই পারি যে, ও জীবনের সেরা ছন্দে রয়েছে। নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ওর ৯১ রানের ইনিংস আমার মতে আইপিএলের সেরা।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিশ্বকাপের দল ঘোষণার সময় নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ বলেছিলেন, চার নম্বরে ব্যাট করতে পারেন বিজয় শঙ্কর। কিন্তু সে জায়গায় কাকে নামানো হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যুবিকে প্রশ্ন করা হয় চার নম্বরে তিনি কাকে চান? যুবির উত্তর, ‘‘নির্বাচকেরাই এর উত্তর ভাল দিতে পারবেন। আমি শুধু বলতে পারি যে, চার নম্বর খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। আমার বিশ্বাস, সে কথা মাথায় রেখেই দল ঘোষণা করা হয়েছে। চার নম্বরে ব্যাট করার জন্য ভারতের হাতে অনেক বিকল্প রয়েছে। দেখা যাক কাকে ওরা ব্যবহার করে।’’
শুধু চার নম্বর বলেই নয়। যুবরাজের চোখে ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম পাঁচটি জায়গাই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, ‘‘যে জায়গাতেই ব্যাট করুক না কেন, তার জন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞতা। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচটি স্থানই গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ডে পরিবেশ অন্য রকম থাকবে। তার মধ্যে যারা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে তারাই সফল হবে। সেই সঙ্গে চাপ সামলানোর কৌশলও দ্রুত রপ্ত করতে হবে। কারণ, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দলগুলো সব সময়েই বিপক্ষকে চাপে রাখার চেষ্টা করবে। চাপের মধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে পারলেই বোঝা যাবে দলের আসল চরিত্র।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy