বিরাট কোহালির অধিনায়কত্বে আবার ভারতীয় ওয়ান ডে ও টি২০ দলে ফিরেছেন যুবরাজ সিংহ। নিজের সেরাটা দিতে তৈরি তিনি। জমিয়ে অনুশীলনও করছেন। তার মধ্যেই ধোনির অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। আবার প্লেয়ার ধোনির সঙ্গে খেলতে পারবেন ভেবেই উচ্ছ্বসিত যুবরাজ। বলেন, ‘‘এটা অনেকটা সেই পুরনো দিনের মতো যখন আমরা শুরু করেছিলাম। অবশ্যই আমি অনেকটা আগে শুরু করেছিলাম। কিন্তু আমরা যখন একসঙ্গে খেলতাম তখন কোনও ভয়, আতঙ্ক কাজ করত না। এই সিরিজে এ বারও আমরা একই ভাবে খেলব।’’ যদিও ধোনির চার বছর আগেই ভারতীয় জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল যুবরাজের। ২০০০এ এসেছিলেন যুবরাজ, ২০০৪এ ধোনি। যুবরাজ বলেন, ‘‘আমার মতে অধিনায়কত্ব ছাড়াটা খুবই ভাল সিদ্ধান্ত। আমার বিশ্বাস ও ভেবেছে এ বার পরের প্রজন্মকে জায়গাটা ছেড়ে দেওয়া উচিত। যাঁর হাত ধরে ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলতে নামবে ভারত। আমরা ওর নেতৃত্বে টি২০ ও ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিতেছি। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছি। টেস্টের এক নম্বর দলও হয়েছি। আমি নিশ্চিত নই কতজন অধিনায়কের এই কৃতিত্ব রয়েছে।’’
শুধু ধোনি নন বিরাট কোহালির প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। তাঁর মতে বিরাটের ধারাবাহিকতাই তাঁর অধিনায়কত্বের চাবিকাঠি। বলেন, ‘‘ওকে চোখের সামনে বড় হতে দেখেছি। আর প্রতিদিন দেখেছি উন্নতি করতে। বিরাটের বিশেষত্ব ওর নিজের খেলার উপর আধিপত্ত রয়েছে। ভীষন ধারাবাহিক। আর দলের কাছ থেকেও ও এটাই চায় সব সময়। ১০০ শতাংশ দায়বদ্ধতা চাওয়াটাই একজন অধিনায়কের কাজ। আমার মতে, ও নিজেই নিজের একটা গোল সেট করেছে।’’ বিরাটের খেলার বর্ণনা দিতে দিতে গিয়ে যুবরাজ বলেছেন, ‘‘আগে ও রান করত, তার পর সেগুলো থেকে সেঞ্চুরি আসতে শুরু করল। আর এ বছর ডবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছে। যাঁর তিন ফর্ম্যাটেই গড় রান ৫০ শতাংশের উপরে। আশাকরি এই বিরাটের হাত ধরে ভারতও সেরাটা দিয়ে যাবে।’’
নিজের খেলা নিয়েও বেশ সতর্ক যুবরাজ। তাই হয়তো বুঝে শুনেই পা ফেলতে চান তিনি। বলেন, ‘‘আমাকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। ফিটনেসের বিজ্ঞান অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। যেটা আমাদের প্রতিনিয়ত শিখতে হয়। ভারতীয় দলের সকলেই ফিটনেসের দিকে অনেকবেশি নজর দেয়। সকলেই দারুণ ফিট। শারীরিকভাবে ফিট থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy