জিকোর লক্ষ্য, চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা।
রবের্তো কার্লোস আবার স্বপ্ন দেখছেন, ভারতীয় ফুটবলের নতুন কিছু প্রতিভা উপহার দেবেন।
এফসি গোয়া এবং দিল্লি ডায়নামোসের দুই ব্রাজিলিয়ান কোচ জিকো ও রবের্তো কার্লোস ‘মিডিয়া ডে’-তে তাঁদের মনের কথা বলে দিলেন এই ভাবেই।
আইএসএলের ঢাকে কাঠি পড়তে বাকি মাত্র সাত দিন। তার আগে মুম্বইতে মিলিত হয়েছিলেন আট ফ্র্যাঞ্চাইজি টিমের কোচ, অনেক টিমের মার্কি ফুটবলার এবং সেরা স্বদেশী ফুটবলার। বলা যায়, সাতশো কোটির টুর্নামেন্টের মেগা-তারকা সমাবেশ হয়ে গেল শনিবার। একসঙ্গে ছবি তোলা হল। কোচেরা নিজেদের মধ্যে কথা-চালাচালি করলেন। খুনসুটিও চলল। কিন্তু সাংবাদিকদের সামনে এসে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, সবাই-ই নিজের টিম নিয়ে সংযত। ফলে ঔজ্জ্বল্যের মধ্যে এমন কোনও বিস্ফোরণ ঘটেনি যা নিয়ে হইচই হবে। বিতর্ক তৈরি হবে।
মঞ্চের পোডিয়ামে এসে কার্লোস যেমন বললেন, ‘‘আশা করি তরুণ ফুটবলাররা আমার কোচিং থেকে কিছু শিখবে। ভারতের জার্সিতে ওরা যখন খেলতে নামবে তখন আরও ভাল খেলতে পারবে।’’ ২০১৩ থেকে তুরস্কের বিভিন্ন ক্লাবে কোচিং করাচ্ছেন কার্লোস। তাঁর কোচিংয়ের বিশেষত্বই ছিল, তিনি ফুটবলারদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে পারেন। দিল্লিতেও সেটা করছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। ‘‘আমরা কিন্তু শুধু একটা দল নই। একটা পরিবার। আমরা জেতার জন্য একসঙ্গে খেলব, একসঙ্গে ঝাঁপাব,’’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলে দিয়েছেন কার্লোস। জিততে হলে দলে পেশাদার মনোভাব থাকা কতটা জরুরি? রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি যোগ করছেন, ‘‘আমি চাই যখন দিল্লি খেলবে তখন পেশাদার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামুক। ভেবে নামুক আমাদের জিততেই হবে।’’
কার্লোসের হাতে যখন মাইক থাকবে তখন ফ্রি-কিক প্রসঙ্গ উঠবেই। ব্যানানা কিকের কারিগরের ফ্রি-কিক নেওয়ার পিছনে রহস্যটা কী? ফাঁস করলেন স্বয়ং মহাতারকাই। ‘‘আমার ফ্রি-কিকের পিছনে রহস্য হচ্ছে প্রতিদিন প্র্যাকটিস করি। যদি পুরো মনোযোগ দিয়ে প্র্যাকটিস করা হয় তা হলে অবশ্যই যে কেউ সেটা করতে পারে,’’ বলছেন কার্লোস। আইসএলের জন্য তাঁর দলও যে তৈরি সেটাও বোঝা গেল যখন দলের নরওয়েজিয়ান তারকা জোহান আর্না রিসা বলে দিলেন, ‘‘আইএসএল খেলতে যাওয়ার আগে স্টিভন জেরার আমায় অভিনন্দন জানিয়েছে।’’
সেলফিতে নিজেদের ধরছেন আইএসএল তারারা। মুম্বইয়ে শনিবার।
কার্লোস যেখানে নতুন প্রতিভা তৈরি করার স্বপ্নে মশগুল তখন জিকোর গত বারের ব্যর্থতা ছাপিয়ে যেতে চাইছেন। প্রথম মরসুমে সেমিফাইনালে উঠলেও আটলেটিকো দে কলকাতার কাছে টাইব্রেকারে হারতে হয় এফসি গোয়াকে। সেই হারের দুঃখ ভুলতে এ বার আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চাইছেন জিকো। ‘‘ব্রাজিলের আক্রমণাত্মক ফুটবলকে এ বার আমি আমার মতো করে প্রয়োগ করব,’’ বলে দিয়েছেন গোয়ার কোচ। গোয়া টিমে এ বার রয়েছেন ব্রাজিলের সাত ফুটবলার। যাঁর মধ্যে রয়েছেন মার্কি ফুটবলার লুসিও। যিনি ২০০২ বিশ্বকাপে কার্লোসের সতীর্থ ছিলেন। দলে এত ব্রাজিলিয়ান কেন? সেই প্রসঙ্গ তুললে জিকো বলছেন, ‘‘ব্রাজিলিয়ানদের আমি দলে নিয়েছি শুধু আমার আমার দেশের ফুটবলার বলে নয়। ওরা সবাই খুব ভাল ফুটবলার।’’ গত বারের বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে শুধু মাত্র রয়েছেন গ্রেগরি আর্নোলিন। জিকোর আক্ষেপ, ‘‘আমি আরও অনেক ফুটবলারকে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কয়েক জনের আগের থেকেই চুক্তি হয়ে ছিল। কিছুই করার ছিল না।’’ গোয়ার মার্কি ফুটবলার লুসিও বলে দিচ্ছেন, ‘‘ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির প্রচুর সুযোগ আছে। সেখানে আমি কিছু অবদান রাখতে পারলে খুশি হব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy