ফ্রান্সের কিংবদন্তি তারকা জ়িদানের ছেলের বয়স কুড়ি। ছবি: রয়টার্স।
থিবো কুর্তুয়া ও কেলর নাভাসের মধ্যে একজনকে বিক্রি করে দিতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল ম্যানেজার জ়িনেদিন জ়িদান পরিষ্কার জানিয়েছেন, পরের মরসুমে তিনি এমন একজনকে গোলের নীচে চান যাঁকে বাদ দিয়ে দল গড়া যাবে না। নতুন মরসুমে তাঁর প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক কে হন সেটাই দেখার।
লা লিগায় শনিবার ওয়েসকার বিরুদ্ধে জ়িদান গোলরক্ষকের জার্সি দিয়েছিলেন তাঁর ছেলে লুকাকে। ফ্রান্সের কিংবদন্তি তারকার এই ছেলের বয়স কুড়ি। লা লিগায় রিয়ালের প্রথম দলে এই নিয়ে দু’বার তিনি সুযোগ পেলেন। লুকা একসময় প্রশিক্ষণ নিতেন স্পেনের নামী গোলরক্ষক কিকো কাসিয়ার কাছে। কিকো মনে করেন, লুকা এক দিন বিশ্বের সেরা গোলরক্ষকদের একজন হয়ে উঠবেন। তা হলে কি জ়িদান তাঁর ছেলেকেই প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক করতে চান? শুরু হয়েছে এমন জল্পনাও।
গত গ্রীষ্মে চেলসি থেকে কুর্তুয়াকে নিয়েছিল রিয়াল। অথচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী রিয়ালের নাভাসই পান ইউরোপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। সান্তিয়াগো সোলারি রিয়ালের ম্যানেজার হওয়ার পরে বেশি খেলিয়েছেন কুর্তুয়াকেই। জ়িদান ফিরে আসার পরে আবার নাভাসই প্রথম গোলরক্ষক হয়ে যান। জ়িদান বলেছেন, ‘‘এই মহূর্তে আমার দলে তিন জন খুবই ভাল গোলরক্ষক আছে। ওদের নিয়েই মরসুম শেষ করতে হবে। তবে এখনই বলে রাখছি যে পরের মরসুমে গোলরক্ষক নিয়ে দলে কোনও বিতর্ক থাকবে না।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
লা লিগায় রিয়ালের এখনও ন’টি ম্যাচ বাকি। ওয়েসকার বিরুদ্ধে কুর্তুয়া খেলেননি কারণ বেলজিয়ামের হয়ে ম্যাচে তিনি চোট পান। নাভাসও দেশের হয়ে খেলে ক্লান্ত ছিলেন। যে কারণে লুকাকে খেলানো হয়েছে বলে অনেকের মত। জ়িদান অবশ্য বলেছেন, ‘‘যোগ্যতা আছে বলেই লুকা রিয়াল দলে জায়গা পেয়েছে। ছ’বছর বয়স থেকে ও ক্লাবের অ্যাকাডেমিতে রয়েছে। ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ১৬ বছর। যদি কেউ বলে, লুকা আমার ছেলে বলে ওকে সুযোগ দিচ্ছি, তা হলে বলব— এই ধরনের কথা গুরুত্ব দিই না। কে কী বলছে তাতে কিছু যায়- আসে না।’’
লা লিগায় বুধবার রিয়াল খেলবে ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে। ওয়েসকার বিরুদ্ধে করিম বেঞ্জেমার শেষ মুহূর্তের গোলে পুরো পয়েন্ট পায় তারা। রিয়ালের খেলায় একেবারেই সন্তুষ্ট নন জ়িদান। আপাতত মাদ্রিদে জল্পনা একটাই, পরের মরসুমের জন্য কী দল গড়তে চলেছেন রিয়াল ম্যানেজার। জ়িদান অবশ্য সরাসরি কিছু না বলে মন্তব্য করেছেন, ‘‘এটা নিয়ে ক্লাবের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের কী করার দরকার জানিয়েছি। তবে রিয়াল মাদ্রিদ একটা প্রতিষ্ঠান। এখানে গুরুত্বপূর্ণ মানুষরা আছেন। আমরা একসঙ্গে আলোচনা করে সব ঠিক করি।’’
রিয়ালে গ্যারেথ বেলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। ক্লাবের যে কোনও ম্যাচেই তাঁকে মারাত্মক বিদ্রুপের সামনে পড়তে হচ্ছে। তিনি পায়ে বল ধরলেই গ্যালারি থেকে বাঁশি বাজানোটা অভ্যেসে পরিণত হয়েছে রিয়াল সমর্থকদের। যা নিয়ে জ়িদানের মন্তব্য, ‘‘আমিও এটা লক্ষ করছি। এই বাঁশি বাজানোর ব্যাপারটা খুবই খারাপ। খেলোয়াড় জীবনে আমার সঙ্গেও এটা হয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে পরিস্থিতি উপেক্ষা করার চারিত্রিক দৃঢ়তা থাকা জরুরি।’’ যোগ করেছেন, ‘‘মরসুম শেষ হলে গ্যারেথের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা কথা বলব। সবার আগে মরসুমটা শেষ করতে হবে। তার পরে কী করা যায় দেখা যাবে।’’ বেলের ব্যাপারে ধোঁয়াশা রাখলেও বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানেকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি চাই ও থাকুক। ভারানেকে বাদ দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ভাবনা আমাদের নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy