অবনমনের গেরোয় আটকে আছে তাঁর দল। অথচ চার্চিল ব্রাদার্স আই লিগের শেষ ম্যাচ খেলার আগেই কলকাতায় ফিরে আসছেন সুভাষ ভৌমিক। রবিবার গোয়ায় সুভাষকে ফোনে ধরা হলে বললেন, “শরীর ভাল নয়। জ্বর আছে। কলকাতায় ফেরার কথা ভাবছি। কথা বলে দেখি কবে ফিরতে পারি।”
ইস্টবেঙ্গল এবং ইউনাইটেড স্পোর্টস ম্যাচের দিন সুভাষ মাঠে আসেননি। না আসার কারণ হিসেবে চার্চিল টিডি বার বার নিজের অসুস্থতার কথাই বলে এসেছেন। কিন্তু গোয়ার খবর, আসিয়ানজয়ী কোচকে ‘অপয়া’ অপবাদ দিয়ে মাঠে আসতে বারণ করে দিয়েছেন ক্লাবের শীর্ষকর্তা আলেমাও চার্চিল। যদিও আলেমাও যাকে ‘পয়া’ মনে করেন, সেই মারিয়ানো ডায়াস মাঠে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও শনিবার সুব্রত ভট্টাচার্যের টিমের কাছে ০-২ গোলে হেরেছে চার্চিল। দলের প্রধান ভরসা শাবানা লাল-কার্ড দেখেছেন।
আই লিগের ম্যাচ বাকি থাকা সত্ত্বেও সুভাষের ফিরে আসা প্রসঙ্গে আলেমাও এ দিন বলে দিলেন, “সুভাষ ভৌমিক অসুস্থ হলে কলকাতায় ফিরে যেতেই পারেন। তাতে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না।” বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, এ সব বিষয় নিয়ে আলেমাও যাই বলুন না কেন, ক্লাবের সঙ্গে কোনও রকম ঝামেলায় যেতে রাজি নন সুভাষ ভৌমিক। নিজের প্রাপ্য টাকা পেয়ে গেলেই সোমবার অথবা মঙ্গলবার কলকাতায় ফিরে আসবেন তিনি।
এ দিকে চার্চিল-সালগাওকর ম্যাচের দিনই আই লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে চায় মহমেডান। আজ সোমবার ম্যাচ পিছানোর আবেদন করে ফেডারেশনের কাছে চিঠি দিচ্ছেন সাদা-কালোর কর্তারা। ক্রীড়াসূচী অনুযায়ী, ২৭ এপ্রিল মুম্বই এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ অবনমনের আওতায় থাকা মহমেডানের। যে ম্যাচ পেনরা জিততে না পারলে অবনমন নিশ্চিত। অবনমনের আওতায় থাকা আর এক দল চার্চিলের শেষ ম্যাচ রয়েছে ২৮ এপ্রিল সালগাওকরের বিরুদ্ধে। দু’দলই ২৩টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। মহমেডানের পয়েন্ট ২১। চার্চিলের ২২। এই পরিস্থিতিতে চার্চিলের সঙ্গে একই দিনে, একই সময়ে ম্যাচ খেলতে চাইছে কলকাতার দলটি। মহমেডানের অন্যতম প্রধান কর্তা রাজু আহমেদ বললেন, “২৭ এপ্রিল ম্যাচটি পিছিয়ে ২৮ তারিখ দেওয়ার জন্য আমরা ফেডারেশনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। এতে কোনও দলের উপরই বাড়তি চাপ পড়ে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy