Advertisement
E-Paper

আজ নাপোলি ম্যাচের পুনরাবৃত্তি চায় চেলসি

২০১২: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শেষ ষোলোয় নাপোলির বিরুদ্ধে প্রথম পর্বে (অ্যাওয়ে ম্যাচে) চেলসি ১-৩ হারল। যে নাপোলি দলে ছিলেন এজেকিয়েল লাভেজ্জি আর এডিনসন কাভানি। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ফিরতি ম্যাচে ৪-১ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল চেলসি। ২০১৪: শেষ আটে প্যারিস সাঁ জাঁর বিরুদ্ধে প্রথম পর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচে চেলসি ১-৩ হারল। যে প্যারিস সাঁ জাঁ দলে ছিলেন এজেকিয়েল লাভেজ্জি আর এডিনসন কাভানি!

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৩৪
অস্কার, হ্যাজার্ড, উইলিয়ান: চেলসির ত্রিফলা। সোমবার। ছবি: এএফপি

অস্কার, হ্যাজার্ড, উইলিয়ান: চেলসির ত্রিফলা। সোমবার। ছবি: এএফপি

২০১২: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শেষ ষোলোয় নাপোলির বিরুদ্ধে প্রথম পর্বে (অ্যাওয়ে ম্যাচে) চেলসি ১-৩ হারল। যে নাপোলি দলে ছিলেন এজেকিয়েল লাভেজ্জি আর এডিনসন কাভানি। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ফিরতি ম্যাচে ৪-১ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল চেলসি।

২০১৪: শেষ আটে প্যারিস সাঁ জাঁর বিরুদ্ধে প্রথম পর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচে চেলসি ১-৩ হারল। যে প্যারিস সাঁ জাঁ দলে ছিলেন এজেকিয়েল লাভেজ্জি আর এডিনসন কাভানি!

দুই প্রেক্ষাপটের প্রথম পর্বে অবিশ্বাস্য মিল। এখন পালা শুধু দ্বিতীয় পর্বের উত্তর খোঁজার। চেলসি কি পারবে আবার নাপোলি-কীর্তির পুনরাবৃত্তি করতে? না কি চিত্রনাট্যের শেষে এ বার ‘ট্র্যাজেডি’ জুটবে তাদের কপালে?

দল অনুযায়ী ২০১২ মরসুমের তুলনায় এ বার চেলসি অনেক বেশি শক্তিশালী। নাপোলির বিরুদ্ধে ছিলেন দিদিয়ের দ্রোগবার মতো বিশ্বমানের স্ট্রাইকার আর খুয়ান মাতার মতো তরুণ তারকা। সেখানে বর্তমান দলে আছেন অস্কার, হ্যাজাডর্র্, উইলিয়ান, সুরলের মতো প্রতিভাবান ফুটবলার। যাঁরা নিমেষেই পাল্টে দিতে পারেন যে কোনও ম্যাচের ছবি।

কিন্তু প্যারিস সাঁ জাঁকে হারানোর পথে চেলসির সবচেয়ে বড় কাঁটা দলের স্ট্রাইকার সমস্যা। ফের্নান্দো তোরেস এখনও ছন্দহীন। দেম্বা বা নিয়মিত খেলা তো দূর, রিজার্ভেও সুযোগ পান না মাঝে মাঝে। এর মধ্যে আবার স্যামুয়েল এটোর চোট পুরোপুরি না সারায় আরও চিন্তায় চেলসি কোচ হোসে মোরিনহো। যদিও ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ানকে’ কিছুটা স্বস্তি দিয়ে সোমবার অনুশীলনে ফিরলেন এটো। কিন্তু দলের সঙ্গে নয়, ফিজিওর সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে হয় তাঁকে।

এটোর ফিটনেস নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থাকলেও শোনা যাচ্ছে, ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে চোট পাওয়া এটোকেই প্রথম দলে রাখতে চলেছেন মোরিনহো। যিনি এ মরসুমে ১১ গোল করেছেন। সবগুলোই স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে। ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ান’ জানিয়ে দিলেন, প্যারিস সাঁ জাঁ-কে তিনি ভয় পাচ্ছেন না। বরং আত্মবিশ্বাসী মেজাজে বলে দিচ্ছেন, “চেলসি যদি ১-০ বা ২-০ জিতত তবে ভয়ে থাকতাম। আমি শুধু ম্যাচটা উপভোগ করতে চাই। আমাদের কিছু হারানোর নেই।”

কার্ড সমস্যায় র্যামিরেজ না থাকলেও, চোট সারিয়ে দলে ফিরতে পারেন জন ওবি মিকেল। পাশাপাশি আবার ২০১২ নাপোলি দলের থেকে প্রায় সব পজিশনেই প্যারিস সাঁ জাঁ বেশি শক্তিশালী। যেখানে ডিফেন্সে রয়েছেন থিয়াগো সিলভা-অ্যালেক্সের মতো তারকারা। চোটের জন্য জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ নেই। তবে ফরোয়ার্ডে এডিনসন কাভানিও বিশ্বমানের। সঙ্গে লাভেজ্জি, লুকাস মৈারা, জাভিয়ের পাস্তোরের মতো ফুটবলার থাকায় দলে আক্রমণাত্মক প্লেয়ারের অভাব নেই।

কিন্তু তাতে কী? মোরিনহো বলেই দিলেন, “যে সমর্থকরা মনে করছেন চেলসি জিততে পারবে না, তাঁরা বাড়িতেই থাকুন। আর টিভিতে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ম্যাচ দেখুন।”

champios league napoli chelsea
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy