এ ভাবেও ফিরে আসা যায়! আটলেটিকো মাদ্রিদের লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে লিও মেসি যে কাঁটা হয়ে উঠবেন কে ভেবেছিল? রবিবার স্প্যানিশ লিগে বার্সেলোনা আর আটলেটিকোর ড্রয়ের পর এটাই কিন্তু ঘোর বাস্তব। আগামী রবিবার ঘরের মাঠে দিয়েগো সিমিওনের টিমকে হারালেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হারের মধুর শোধ তুলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ মেসিদের। আর ১৮ বছর পর লা লিগা খেতাব জিততে আটলেটিকোর চাই ড্র।
এলচের সঙ্গে ম্যাচ ড্রয়ের চূড়ান্ত হতাশা নিয়ে বার্সেলোনার ফুটবলাররা তখন সদ্য ড্রেসিংরুমে ঢুকেছেন। তাও এমন একটা দলকে না হারাতে পারার হতাশা যারা ২০ দলের লিগে রয়েছে ১৪ নম্বরে। ঠিক তখনই সতীর্থদের সুখবরটা দেন জেরার পিকে। ৪০০ কিলোমিটার দূরের ম্যাচে শেষ বাঁশি বেজে গিয়েছে। আটলেটিকো মাদ্রিদ হারাতে পারেনি মালাগাকে। মুহূর্তে আন্দ্রে ইনিয়েস্তাদের হতাশা বদলে যায় স্বস্তিতে। এখনও তা হলে আশা আছে। ততক্ষণে সেল্টা ভিগোর কাছে চোট-আঘাতে বিধ্বস্ত রিয়াল মাদ্রিদ ০-২ হেরে লা লিগার খেতাবের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে। স্যামুয়েল স্যাঞ্চেজের গোলে প্রথমে পিছিয়ে গিয়েও হোসে সোসার গোলে ম্যাচে ফিরে আসা আটলেটিকোর সমর্থকরাও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না টিমের ড্র। বিশেষ করে শেষ মুহূর্তে আদ্রিয়ানের দুরন্ত শট মালাগার গোলকিপার উইলি কাবালেরো অবিশ্বাস্য ভাবে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচানোর পর। আটলোটিকোর সমর্থকদের একটা কথা খুব প্রিয়। ক্লাবের পতাকায় লেখাটা প্রায়ই দেখা যায়, “প্রতিটা ম্যাচ এমন ভাবে খেলো যেন ওটাই শেষ সুযোগ।” কালদেরনে গাবিরা সেটা সত্যি করতে পারলেন কোথায়!
উল্টে ৪৩ ম্যাচে ৪১ গোল করেও মরসুমে স্প্যানিশ সুপার কাপ ছাড়া আর কোনও ট্রফি জিততে না পারার হতাশা কাটাতে মরিয়া মেসিরা দুরন্ত সুযোগ পেয়ে গেলেন। আটলেটিকোর কোচ সিমিওনে তাই হয়তো বলেন, “মরসুমের শুরুতে যদি কেউ বলত তিন পয়েন্টে এগিয়ে থেকেও ট্রফি জেতার জন্য ন্যু কাম্পে শেষ ম্যাচে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে খেলতে হবে, কেউ বিশ্বাস করত না। যে কোনও ফাইনালের মতো এই ম্যাচেও তাই ৫০-৫০ সুযোগ।” বার্সেলোনা কোচের গলায় আবার স্বস্তির ছাপই বেশি। “সত্যিই। স্বস্তি পেয়েছি আটলেটিকো ড্র করায়। যতটুকু করার করেছি।”
ফুটবলের ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয় বার দুই দল খেতাব কার হাতে উঠবে ফয়সালা করতে শেষ দিন মুখোমুখি। শেষ বার ৬৩ বছর আগে এমনই পরিস্থিতিতে আটলেটিকো হারিয়েছিল সেভিয়াকে। এ বার কী হবে? আইএসএলে কলকাতা দলের অন্যতম অংশ হিসেবে আটলেটিকো এখন তো শহরেরই টিম। শহরবাসী কার হয়ে গলা ফাটাবেন রবিবার? মেসি না কোস্তা? সিমিওনে আবার বলছেন, “ঘরের মাঠে না জেতায় টিমের সবাই হতাশ। এটা ভাল লক্ষণ। মানেটা সহজ, যন্ত্রণাটা ওরা এখনও টের পাচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy