মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শহর থেকে নরেন্দ্র মোদীর শহরে ঢুকে সোজা টিভির সামনে বসে পড়ল টিম কেকেআর। রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচ দেখতে।
আগামী ৫ মে শেন ওয়াটসনের রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামতে চলেছে নাইটরা। মহাগুরুত্বপূর্ণ কারণ এই ম্যাচেও যদি ভাগ্যের পরিবর্তন না হয়, তা হলে আইপিএল প্লে অফে ওঠাই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
এই মুহূর্তে কেকেআরের পয়েন্ট ৬ ম্যাচে ৪। মনে করা হচ্ছে, প্লে অফে যেতে হলে পরবর্তী আটটা ম্যাচের মধ্যে ছ’টা অন্তত জিততে হবে। যা আপাত-দৃষ্টিতে অসম্ভব না হলেও বেশ কঠিন। শোনা গেল, শুক্রবার রাতে ধোনির সিএসকে-র কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই একটা টিম মিটিং হয়েছে নাইট শিবিরে। যেখানে বারবার জোর দেওয়া হয়েছে টিম বন্ডিংয়ের উপর। শুধু তাই নয় শোনা গেল, রাজস্থানের বিরুদ্ধে টিমের ব্যাটিং লাইন আপে বড় কোনও পরিবর্তন থাকতে পারে। তবে কাকে বাদ দিয়ে কাকে আনা হবে, নির্ভর করবে রাজস্থান রয়্যালসের শক্তি-দুর্বলতা যাচাই করে নেওয়ার পর। মনে করা হচ্ছে, আমিরশাহির পারফরম্যান্স দিয়ে ভারতে প্রতিপক্ষকে বিচার করা ঠিক হবে না।
স্কোরবোর্ড তো বটেই। টিমের কোনও কোনও সদস্যও মোটামুটি বুঝিয়ে দিচ্ছেন, সবচেয়ে ভোগাচ্ছে ব্যাটিং। রবিন উথাপ্পা যেমন ম্যাচ শেষের পর বলে দিয়ে গেলেন, “রাঁচির উইকেট শুকনো ছিল ঠিকই। বোলাররা মুভমেন্ট পেয়েছে। ভাল বাউন্স ছিল। কিন্তু তাতে ব্যাটসম্যানেরও সুবিধে হওয়া উচিত। আমরা আসলে ব্যাটটাই করতে পারিনি। কয়েক ওভারের মধ্যে ম্যাচটা শেষ হয়ে গেল।” কেকেআরের নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও মনে করেন যে, কেকেআরকে টুর্নামেন্টে ভাল কিছু করে দেখাতে হলে ভাগ্যের যেমন প্রয়োজন। ঠিক তেমন দরকার ভাল ব্যাটিংয়েরও। “তিনটে জিনিস দরকার যদি আমাদের ভাল করতে হয়। লাকটা দরকার। যা আমিরশাহিতে আমাদের ভুগিয়েছে। ভাল ফিল্ডিং করা দরকার। কিন্তু সবচেয়ে বেশি দরকার ভাল ব্যাটিংয়ের। আমার মনে হয়, যে ধারাবাহিকতাটা জরুরি ব্যাটিংয়ে সেটা নেই। ওটা দ্রুত ফেরানো দরকার,” আনন্দবাজারকে বলে দিলেন সাকিব।
তবে নাইটদের বাঙালি অলরাউন্ডার আশাবাদী যে, ভারতে নাইটদের ভাগ্য ফিরবে। আমিরশাহির মতো হবে না। রাঁচিতে ধোনিদের বিরুদ্ধে ম্যাচ মোটেও সুখকর হয়নি ঠিকই, কিন্তু সাকিব বলে দিচ্ছেন, “এখনও প্রচুর ম্যাচ বাকি আছে। তার চেয়েও বড় কথা এখন থেকে আমরা টানা ভারতে খেলব। প্রত্যেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজিই টিম তৈরি করে হোম অ্যাডভান্টেজের কথা ভেবে। আমাদের ঘরের মাঠের পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই টিমটা বেশ ভাল। আমিরশাহিতে পরিবেশ একদম আলাদা ছিল।”
ঘটনা হচ্ছে, ইডেনে কেকেআর নামতে নামতে সেই ১৪ মে। তখন তো হাতে পড়ে থাকবে আর পাঁচটা ম্যাচ। কে বলতে পারে, ততদিনে কেকেআরের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে না? এমনিতেই বলা হচ্ছে, টিমটার ব্যাটিং শক্তি মোটেও আহামরি নয়। বারবার সেটা প্রমাণিতও। তা হলে? এ বার সাকিবের উত্তর, “ইডেন বাদেও অন্যান্য জায়গায় ভাল খেলব আমরা। আমাদের বোলিংটা দেখুন। সুনীল নারিন আছে। যে টিমে থাকলে যে কোনও টিমের চিন্তা কমে যায়। বোলিংয়ের দিক থেকে অনেকের চেয়েই আমরা এগিয়ে। আর কয়েকটা ম্যাচ যেতে দিন। এই যে বলা হচ্ছে, আমাদের ব্যাটিং বোলিংয়ের মতো শক্তিশালী নয়, এ সমস্ত কথাবার্তা আর কয়েক দিনের মধ্যেই থেমে যাবে। নিশ্চিত থেমে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy