Advertisement
E-Paper

ইস্টবেঙ্গলের সাত নম্বর কিপারের কাজ কী, উঠছে প্রশ্ন

বেশির ভাগ সময় তাঁকে দেখা যায় কোচের গাড়ি চালিয়ে মাঠে আসতে! কোচের বাড়িতে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা দেখেছেন, ওই ফুটবলার রান্নাঘরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:০৫
প্র্যাকটিস শেষ। কোলাসোর গাড়ির চালকের ভূমিকায় বিতর্কিত টাইসন (ইনসেটে)। ছবি: উৎপল সরকার

প্র্যাকটিস শেষ। কোলাসোর গাড়ির চালকের ভূমিকায় বিতর্কিত টাইসন (ইনসেটে)। ছবি: উৎপল সরকার

বেশির ভাগ সময় তাঁকে দেখা যায় কোচের গাড়ি চালিয়ে মাঠে আসতে!

কোচের বাড়িতে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা দেখেছেন, ওই ফুটবলার রান্নাঘরে।

দলের সাত নম্বর কিপার টাইসন কাইসেডোকে নিয়ে হঠাৎই তোলপাড় শুরু হয়েছে ইস্টবেঙ্গলে। দল তৈরি হয়ে যাওয়ার পরও কোন ‘কাজের জন্য’ কিপার হিসাবে তাঁকে দলে নিলেন আর্মান্দো কোলাসো, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। যে কিপারের খেলার কোনও সম্ভাবনাই নেই, শুধু অনুশীলন করার জন্য তাঁকে কেন মাসিক মাইনে দিয়ে রাখা হবে, তা নিয়েও ক্লাবের অন্দরে চলছে জোর আলোচনা।

কলকাতার কোনও বড় ক্লাবের ইতিহাসে যা কখনও হয়নি এ বার তাই হয়েছে আর্মান্দোর টিমে। মোট সাত জন গোলকিপার একসঙ্গে অনুশীলন করছেন সিনিয়র দলে। এঁরা হলেন অভিজিৎ মণ্ডল, শুভাশিস রায় চৌধুরী, অভ্র মণ্ডল, লুই ব্যারেটো, দিব্যেন্দু মজুমদার, সন্দীপ পাল এবং টাইসন। অভিজিৎ আইএসএল খেলতে গিয়ে চোট পাওয়ার পর আটলেটিকো দে কলকাতার সফল কিপার শুভাশিসের সঙ্গে পাঁচ মাসের চুক্তি করেছে লাল-হলুদ। ক্লাব সূত্রের খবর, কোচের সঙ্গে কথা বলে প্রথমে ঠিক হয়েছিল তিন জন অভিজ্ঞ এবং দু’জন জুনিয়র কিপার নেওয়া হবে। তা নেওয়াও হয়। কিন্তু পুরো টিম তৈরি হওয়ার পর সুখবিন্দর সিংহ এবং টাইসনকে নেওয়ার জন্য গোঁ ধরেন আর্মান্দো। তিনি নিতে চেয়েছিলেন ‘বুড়ো’ ক্লাইম্যাক্সকেও। কিন্তু ডেম্পোর প্রাক্তন মিডিও-কে নিতে রাজি হননি কর্তারা। তবে কোচ চাপাচাপি করায় শেষ পর্যন্ত টাইসনকে দলে নেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে টাইসন যদি এত ভাল কিপার-ই হন, তা হলে শুভাশিসকে কেন আবার নিতে বললেন আর্মান্দো? চোট পেয়ে বাইরে চলে যাওয়া অভিজিতের জায়গায় টাইসনকেই তো খেলাতে পারতেন তিনি। তা হলে কি কিপারের বদলে ‘অন্য কাজের’ কথা ভেবেই নেওয়া হয়েছে গোয়ার ফুটবলারটিকে?

শেষ দু’বছর ডেম্পোতে ছিলেন টাইসন। খেলেছেন মাত্র দু’টো ম্যাচ। গত বছর একটা ম্যাচেও মাঠে নামার সুযোগ পাননি। তা সত্ত্বেও কেন টাইসনকে নেওয়া হল? গোয়ায় মিডিয়া-কাণ্ডের পর আর্মান্দো মুখ খুলছেন না। অনুশীলনেও প্রবেশ নিষেধ করে দিয়েছেন মিডিয়ার। ফলে কোচের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বললেন, “টাইসনকে কেন নেওয়া হয়েছে সেটা কোচই বলতে পারবেন। কোচ যা চেয়েছেন আমরা সব দিয়েছি। যাতে উনি সমস্যায় না পড়েন। এখন আমাদের মোট চল্লিশ জন ফুটবলার আছে। ওঁকে বলা হয়েছে, যাদের আই লিগে দলে রাখতে চান না তাদের বাদ দিতে। তালিকাটা পাঠিয়ে দিতে।” বুধবার রাত পর্যন্ত বাতিলের কোনও তালিকা দেননি আর্মান্দো। এখন দেখার ছাঁটাইয়ের তালিকায় টাইসনের নাম থাকে কি না?

তবে স্পোর্টিং ক্লুবের বিরুদ্ধে আই লিগের যে দল যাচ্ছে তাতে রয়েছে নিউজিল্যান্ডের লিও বার্তোসের নামও। যে বিদেশির পারফরম্যান্সে একেবারেই সন্তুষ্ট নন লাল-হলুদ কর্তারা। আইএসএলে গুয়াহাটি টিমে বার্তোসকে নিয়েও খেলাননি স্বয়ং তাঁর দেশের কোচ রিকি হারবার্ট-ই। টিমের মার্কি ফুটবলার হলেও কলকাতা লিগে, ফেড কাপে একেবারেই নজর কাড়তে পারেননি বার্তোস। তা সত্ত্বেও তাঁকে খেলিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আর্মান্দো নিজে তাঁকে বেছে এনেছেন বলে। যা নিয়ে ফুটবলারদের মধ্যেও তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।

east benagal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy