Advertisement
E-Paper

উল্টো পতাকার লজ্জা ও অব্যবস্থার শিকার ভারত

এক দিকে কমনওয়েলথ গেমসের থিম ভিডিওয় দেশের জাতীয় পতাকা উল্টো করে দেখানোর লজ্জা। অন্য দিকে চূড়ান্ত অব্যবস্থায় লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার উপক্রম। সব মিলিয়ে প্রথম দিন পদকের পাশাপাশি বিতর্কও তাড়া করল ভারতকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৪ ০৩:২৫
থিম সংয়ের ভিডিওয় উল্টো ভারতের জাতীয় পতাকা।

থিম সংয়ের ভিডিওয় উল্টো ভারতের জাতীয় পতাকা।

এক দিকে কমনওয়েলথ গেমসের থিম ভিডিওয় দেশের জাতীয় পতাকা উল্টো করে দেখানোর লজ্জা। অন্য দিকে চূড়ান্ত অব্যবস্থায় লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার উপক্রম। সব মিলিয়ে প্রথম দিন পদকের পাশাপাশি বিতর্কও তাড়া করল ভারতকে।

এ বারের কমনওয়েলথে ভারতের প্রথম সোনা এল ভারোত্তোলন থেকে। কিন্তু যাঁদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি পদক আশা করা হচ্ছে, সেই শুটাররা কিন্তু গেমস শুরু হতে না হতেই বড় সমস্যায়।

চার বছর আগে দিল্লির কমনওয়েলথ গেমসে সবচেয়ে বেশি তিরিশটি পদক এসেছিল শুটিং থেকে। গ্লাসগোয় চলতি গেমসেও প্রচুর পদক আসবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অব্যবস্থায় যথেষ্ট নাজেহাল শুটাররা।

গ্লাসগো থেকে প্রায় একশো কিলোমিটার দূরে ডান্ডির ব্যারি বাডন রেঞ্জে বসতে চলেছে কমনওয়েলথ গেমসের শুটিংয়ের আসর। মূল কেন্দ্র থেকে অনেকটা দূরে এই ইভেন্ট হওয়াই বিপত্তির কারণ। সবচেয়ে বড় সমস্যা, শুটাররা ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারছেন না। যে কোনও খেলোয়াড়ের ছন্দ নষ্ট হওয়ার পক্ষে যা যথেষ্ট। এ ছাড়াও খাবারের ব্যবস্থাও ভাল নয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়া-আসা নিয়েও সমস্যায় পড়েছিলেন অভিনব, গগন, বিজয়, জয়দীপরা। যা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ তাঁরা।

বৃহস্পতিবার ডান্ডিতে ভারতীয় শুটারদের শিবিরে ফোন করে জানা গেল, গত তিন দিন ধরে তাঁরা প্র্যাকটিসই পাচ্ছেন না। যা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জয়দীপ কর্মকার ফোনে বললেন, “অন্যান্য গেমসে সবার প্র্যাকটিসের একটা শিডিউল থাকে। যে শিডিউল মেনেই সাধারণত অনুশীলন করি আমরা। এখানে এসে থেকে দেখছি, তেমন কোনও শিডিউলই নেই। আগের ক’দিন যে যখন রেঞ্জ খালি পেয়েছি, তখন প্র্যাকটিস সেরে নিয়েছি। কিন্তু এখন প্রি ইভেন্ট ট্রেনিং চলছে, তাই আর রেঞ্জ খালি নেই। আমাদের সবারই এক অবস্থা। কয়েক দিন পরপর প্র্যাকটিস করে যদি তিন দিন বসে থাকতে হয়, তা হলে তো ছন্দ নষ্ট হয়ে যায়।” বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ভারতীয় শুটাররা জানতে পারেননি, শুক্রবার তাঁরা প্র্যাকটিস করতে পারবেন কি না।

কমনওয়েলথে ভারতের প্রথম দিন। সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন।

শুটারদের খাবার নিয়ে অব্যবস্থার কথাও স্বীকার করে জয়দীপ বললেন, “এখানে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা নেই। এমনকী আমরা যে হোটেলে রয়েছি, সেখানেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। দুপুরের খাবার চাইতে গেলে একটা শুকনো স্যান্ডুইচ ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্রেকফাস্টের পর সেই ডিনার। তার মাঝখানে কোনও খাবার নেই।”

বুধবার শুটারদের আড়াই ঘন্টার সফর করিয়ে গ্লাসগোর সেলটিক পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য। কিন্তু গেমস ভিলেজে তাঁদের বিশ্রামের জন্য কোনও নির্দিষ্ট ঘরও দেওয়া হয়নি বলে জানান জয়দীপ। বলেন, “শেষ পর্যন্ত সৌম্যজিতের (টিটি খেলোয়াড়) ঘরে গিয়ে আমি আর বিজয় (কুমার) কিছুক্ষণ বসি ও জামাকাপড় বদলাই। কিন্তু ওখান থেকে ফেরার গাড়ি পেতে বহুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় আমাদের।” জয়দীপের আক্ষেপ, “এসব ভারতে হলে সারা দুনিয়ায় সমালোচনা হত। বিদেশ বলেই এখন কেউ কিছু বলছে না বোধহয়।”

থিম সং ভিডিওয় ভারতের উল্টো পতাকার বিষয়টি প্রথমে লক্ষ্য করেননি বলে জানান জয়দীপ। বলেন, “প্রথমে আমরা ওটা খেয়াল করিনি। পরে মিডিয়ায় হইচই হওয়ার পর খুব খারাপ লেগেছে আমাদের। ব্যাপারটা যথেষ্ট দুর্ভাগ্যজনক। শুনেছি ব্রিটিশরা যথেষ্ট শৃঙ্খলাপরায়ণ। তাদের কাজের এই নমুনা দেখে অবাক হচ্ছি।”

commonwealth games upside down flag indian flag
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy