কুড়িতম কমনওয়েলথ গেমসের উদ্বোধনে ভারতের পতাকাবাহকের দায়িত্বে থাকবেন অলিম্পিক পদকজয়ী শুটার বিজয় কুমার। পাশাপাশি বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে সচিন তেন্ডুলকরকে। ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত। বিশ্ব জুড়ে শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কমনওয়েলথ গেমস সংগঠনের সঙ্গে ইউনিসেফ গাঁটছড়া বেঁধেছে। সেই উদ্যোগেই শামিল হতে দেখা যেতে পারে সচিনকে। ইংল্যান্ডে ইউনিসেফের দূত লর্ড ডেভিড পাটনাম এই নিয়ে রহস্য রেখে জানিয়েছেন, “সচিনকে নিয়ে বিশেষ একটা পরিকল্পনা রয়েছে। সেটা কী যথাসময়ে দেখতে পাবেন।”
চার বছর আগে নয়াদিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে সংখ্যাটা ছিল ১০১। ভারতের মোট পদক জয়ের ক্ষেত্রে যেটা রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার পর মোট পদকের দিক থেকে ভারতের স্থান ছিল দ্বিতীয়। অলিম্পিক, এশিয়ান গেমসের পর সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযুদ্ধের আসরে এ বার সেই রেকর্ডটা ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ভারতের।
বুধবার গ্লাসগোয় টুর্নামেন্টের উদ্বোধন। ভারতের প্রায় দুশোরও বেশি প্রতিনিধি দল যেখানে অংশ নিচ্ছে। ৭১টি দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার অ্যাথলিটের লড়াই। জামাইকার মহাতারকা অ্যাথলিট উসেইন বোল্ট (যদিও তিনি শুধু রিলেতে নামবেন) আর ইংল্যান্ডের মাঝারি আর দূর পাল্লার ‘রাজা’ মো ফারাহ আকর্ষণের কেন্দ্রে। মোট এগারো দিনে ১৮টি খেলায় ২৬১ পদকের জন্য লড়াই হবে। পাশাপাশি প্যারা ইভেন্টে ২২টি পদকের জন্য যুদ্ধও রয়েছে। ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা গতবার ১২টা পদক এসেছিল তিরন্দাজি আর টেনিস থেকে। এ বার এই দুটো ইভেন্ট গ্লাসগোয় নেই। শুটিংয়েও পদকের সংখ্যা ছাঁটা হয়েছে। তার সঙ্গে কুস্তিতে বাদ পড়েছে গ্রেকো রোমান বিভাগ। ২০১০ কমনওয়েলথে এই চারটে বিভাগ থেকেই প্রচুর পদক পেয়েছিল ভারত। তা ছাড়া নয়াদিল্লি গেমসে ৩০টি পদক দেওয়া শুটারদের অনেকেই এ বার সেরা ফর্মে নেই।
অস্ট্রেলিয়ার এ বারও পদক জয়ের দিক থেকে সবাইকে ছাপিয়ে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। ১৯৯০ থেকে অস্ট্রেলিয়া পদক তালিকায় দাপট দেখাচ্ছে। যেটা এ বারও তাঁদের চারশোরও বেশি প্রতিনিধিদল ধরে রাখার ব্যাপারে এগিয়ে। ইংল্যান্ড গতবার মোট পদকের দিক থেকে ভারতের থেকে এগিয়ে ছিল। কিন্তু ভারত দ্বিতীয় স্থান পায় তাদের থেকে একটি সোনার পদক বেশি পাওয়ায়। এ বার প্রায় দেশের মতো পরিবেশে ভারতীয় অ্যাথলিটদের বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে ইংরেজরা। পাশাপাশি ব্যাডমিন্টনে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় তারকা সাইনা নেহওয়ালেরও এ বার নাম তুলে নেওয়াটা নিঃসন্দেহে ভারতের কাছে ধাক্কা। তাই সব সামলে ভারতের লক্ষ্য পদক জয়ের ক্ষেত্রে সেরা তিনে থাকা।
তবে আশাও রয়েছে। সাইনা না থাকলেও পিভি সিন্ধু, পি কাশ্যপ, কে শ্রীকান্তরা বেশ ভাল ফর্মে আছেন। তা ছাড়া ভারোত্তোলনে ভারত এ বার চমক দেখাতে পারে। এআইবিএ আবার জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বক্সারদের লড়াইয়ের সময় রিং-এর পাশে থাকতে পারবেন কোচরা।