চিকিৎসার মধ্যেও খেলে যাচ্ছেন মেসি

বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্তিনার জন্য অশনি সঙ্কেত? অসুস্থ লিও মেসি? ঠিক কতটা গুরুতর তাঁর অসুখ?

ব্রাজিল বিশ্বকাপের মুখে আর্জেন্তিনা তথা ফুটবল দুনিয়ায় আশা ও আশঙ্কা! এ-ও বলা হচ্ছে, ক্লাব ফুটবলের ঠাসা সূচি, অস্বাভাবিক ব্যস্ততা এবং চাপই এলএম টেনের অসুস্থ হয়ে পড়ার মূলে। কার্যত কোনও বিশ্রামই তিনি পাচ্ছেন না। লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাইরে নানা চ্যারিটি ম্যাচেও তাঁকে খেলে যেতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে যার সঙ্গে যোগ হয় আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি। বিজ্ঞাপনের শুটিংও করতে হয় নিয়মিত। সব মিলিয়ে যার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে মেসির শরীরে। যা ব্রাজিল বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্তিনার কাছে একটা বড় উদ্বেগের কারণ হতে পারে। শনিবার ভায়াদোলিদের কাছে বার্সেলোনার ০-১ হারের পর উদ্বেগটা আরও বেড়েছে।

শনিবার লা লিগায়।

‘অশুভ’ ইঙ্গিতের উৎস দু’দিন আগের আর্জেন্তিনা-রোমানিয়া ফ্রেন্ডলি। সে দিন খেলার মাঝে হঠাৎই অসুস্থ, পরিশ্রান্ত দেখায় এলএম টেনকে। মাঠে বমি করেন। শেষ পর্যন্ত বাকি ম্যাচ মাঠে থাকলেও তাঁর অসুস্থতা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। ম্যাচের পরে মেসি নিজে অবশ্য জানিয়েছিলেন, ব্যাপারটা গুরুতর কিছু নয়। এ রকম ঘটনা তাঁর ফুটবল জীবনে আগেও ঘটেছে (মোট চার বার)। আর আর্জেন্তিনা কোচ সাবেয়ার প্রতিক্রিয়া ছিল, “লিওর সমস্যা হচ্ছিল একটু। জল খেয়ে ঠিক হয়ে যায়।”

কিন্তু যতটা স্বাভাবিক বলে ব্যাপারটা চালানো হচ্ছে, আদৌ কি ততটা সহজ? সম্ভবত না। এ রকম কথা উঠছে কারণ বার্সেলোনা কোচ জেরার্ডো মার্টিনো নিজেই ফাঁস করে দিলেন, তাঁর টিমের সেরা সম্পদকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হয়েছে। গ্যাস্ট্রিক অসুখ থেকে অ্যালার্জি সব রকম পরীক্ষা করেও অসুস্থতার কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মার্টিনো বলেন, “ওর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমাকে বলেছে, এ রকম মাঝে মাঝেই হচ্ছে। আমি তো বিশেষজ্ঞ নই, তবে আন্দাজ করছি যে ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিক নয়।” কোচ আরও বলেছেন, “বেশ কয়েক বার লিও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়েছে। যাচ্ছেও নিয়মিত। কিন্তু এখন পর্যন্ত সমস্যার কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। বার বার ব্যাপারটা ফিরে আসছে।”

শরীরের এ রকম অবস্থাতেও শনিবার লা লিগায় রিয়াল ভায়াদোলিদের বিরুদ্ধে তাঁকে নামানো হয়। অসুস্থ শরীরে ছন্দে ছিলেন না, টিমকেও জেতাতে পারেননি। রোমানিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ ড্র করার পর লা লিগায় জুটল হার। তাও এমন একটা দলের বিরুদ্ধে যারা গত ১১ ম্যাচে জিতেছে এক বার। এবং লা লিগায় অবনমন বাঁচাতে লড়ছে।

সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যা, তাতে একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ফুটবল মহলে। বিশেষ করে সামনে বিশ্বকাপ বলে মেসির অসুস্থতা এখন আলোচনার কেন্দ্রে। তা বার্সার প্রথম এগারোয় তাঁকে নিয়মিত রাখা হলেও।