কৃত্রিম কোমা থেকে জেগে ওঠার লক্ষণ দেখাচ্ছেন মিশায়েল শুমাখার। সংবাদমাধ্যমের নতুন কোনও জল্পনা নয়, এই খবর দিয়েছেন খোদ রেসিং কিংবদন্তির মুখপাত্র সাবাইন খেম। যিনি এ দিন জানিয়েছেন, মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ার পর প্রায় আড়াই মাসের কোমা থেকে জেগে ওঠার চিহ্নগুলো খুব ছোট ছোট হলেও চিকিৎসকেরা সেটাকেই যথেষ্ট ইতিবাচক মনে করছেন। “মিশায়েলের শরীরে মাঝে মাঝে ছোট ছোট পরিবতর্ন হচ্ছে যেগুলো দেখে চিকিৎসকেরা রীতিমতো উৎসাহিত। ওকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টায় মিশায়েল সাড়া দিচ্ছে বলেই চিকিৎসকেরা মনে করছেন। ওর পরিবারও বিশ্বাস করে, মিশায়েল সঙ্কট কাটিয়ে জেগে উঠবে। তবে আমরা এটাও জানি যে, এই মুহূর্তে ধৈর্য হারিয়ে ফেললে চলবে না,” বলেছেন খেম।
মরসুমের প্রথম ফর্মুলা ওয়ান রেস শুরু হওয়ার আগে সাবাইনের কথাগুলো বিশ্বজুড়ে ফর্মুলা ওয়ান অনুরাগীদের কিছুটা আশ্বস্ত করবেই। কৃত্রিম কোমায় থাকা শুমাখারকে জাগিয়ে চোলার চেষ্টা গত ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু করেছেন ফ্রান্সের গ্রেনোবল হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে শুমাখারের অবস্থা নিয়ে নিত্যনতুন জল্পনায় নানা বিভ্রান্তি ছড়ায়। সম্প্রতি একটি কাগজ দাবি করে, চিকিৎসকেরা নাকি তাঁর পরিবারকে এক রকম জবাব দিয়েই দিয়েছেন। কিন্তু আজ সাবাইন খেম সরকারি ভাবে সাত বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের শারীরিক অবস্থার কথা জানানোয় সেই বিভ্রান্তি কিছুটা কাটল। এর আগে শুমাখার চোখ নড়াতে পারছেন বলে খবর বেরিয়েছিল। তাঁর ঘনিষ্ঠ এবং অসম্ভব প্রিয়পাত্র, ফর্মুলা ওয়ান তারকা ফিলিপে মাসাও কিংবদন্তি চালকের রোগশয্যার পাশে লম্বা সময় কাটিয়ে বেরিয়ে জানিয়েছিলেন, মিশায়েল তার কথা শুনে হাবেভাবে কিছু প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। কিন্তু শুমাখারের পারিবারিক সূত্রে বা হাসপাতাল সূত্রে এর কোনওটাই এত দিন স্বীকার করা হয়নি। এই প্রথম শুমাখার জেগে ওঠার চিহ্ন দেখাচ্ছেন বলে সরকারি ভাবে জানানো হল।
খেম এ দিন বলেন, “মিশায়েলের আঘাতগুলো অসম্ভব গভীর। আসলে আমরা সবাই ওকে সব সময় দারুণ ফিট আর লড়াকু মানুষ হিসাবে দেখতেই অভ্যস্ত। তাই চোট ঠিক কতটা গুরুতর হলে ওকে এতখানি অসহায় করে ফেলতে পারে, সেটা বোঝা আমাদের পক্ষে খুব কঠিন। তবে চিকিৎসকেরা প্রথম থেকেই জানিয়েছিলেন যে মিশায়েলকে খুব লম্বা আর কঠিন লড়াই লড়তে হবে। আমাদের কাছে ওর সুস্থ হয়ে ওঠাটাই আসল। তার জন্য কত দিন সময় লাগল, সেটা নিয়ে মিশায়েলের পরিবার ভাবছে না।”