টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল হারের চব্বিশ ঘণ্টা পরে টিমের ব্যাটিংকেই এই বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে দেখছেন মহম্মদ শামি।
সোমবার শহরে ফিরে বিমানবন্দরে ভারতীয় পেসার বলে দিলেন, “ফাইনালে আমরা রান তুলতে পারিনি। তাই হেরে গিয়েছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাধারণত যা রান ওঠে, সেই তুলনায় ১৩০ স্কোর হিসেবে তেমন কিছু না।” সঙ্গে শামির সংযোজন, “সবচেয়ে খারাপ লাগছে এটা ভেবে যে, গোটা টুর্নামেন্টে এত ভাল খেলার পর সেই ফাইনালেই হেরে গেলাম। টুর্নামেন্টের প্রথম দিন থেকে আমরা বাকি দলের চেয়ে বেশি ভাল ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু তার পর যে ফাইনালে এ রকম ক্রিকেট খেলব, ভাবতে পারিনি। এই ধরনের ক্রিকেট কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।”
বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরুর দিকে সব ম্যাচে খেলেছিলেন বাংলার পেসার। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচ থেকে বাদ পড়েন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল এবং রবিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফাইনালের টিমেও রাখা হয়নি তাঁকে। শামির জায়গায় তিনটে ম্যাচে সুযোগ পান মোহিত শর্মা। গুরুত্বহীন অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে টিমে বদল করা নিয়ে সমালোচকেরা মন্তব্য না করলেও ফাইনালে শামিকে না খেলানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেটমহলে। বিশেষ করে এই মুহূর্তে তিনিই যখন দেশের সেরা পেসার। শামি নিজে অবশ্য এই প্রসঙ্গে বিশেষ কিছু বলতে চান না। শুধু বলেছেন, “এটা পুরোপুরি টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিল। টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা ঠিক মনে করেছে, তারা সেটা করেছে। হয়তো এটায় দল আর আমার, দু’পক্ষেরই ভাল হবে।”
এই মুহূর্তে অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের ব্যর্থতা ভুলে নতুন লক্ষে মন দিতে চান শামি। এখন তাঁর পাখির চোখ আইপিএল সেভেন। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের নতুন সদস্য শামি মঙ্গলবার দিল্লি উড়ে যাবেন, নতুন টিমের প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিতে। সেখান থেকে কয়েক দিন পরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যাবে গোটা দিল্লি টিম। বাংলা দলে তাঁর অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল সোমবার সন্ধেবেলাই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। আইপিএল নিয়ে শামির বক্তব্য, “নিজের সেরাটা দিতে চাই আইপিএলে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy