শুধু ’১৫-র বিশ্বকাপের প্রাথমিক তিরিশ থেকে বাদ পড়াই নয়। একই সঙ্গে বোর্ডের পরের মরসুমের কন্ট্র্যাক্ট খোয়ানোর পরে দেশের দুই অভিজ্ঞ তারকা ব্যাটসম্যানের ব্যাট যেন নতুন করে ঝলসে উঠছে।
চলতি রঞ্জি মরসুমে যুবরাজ সিংহ আর বীরেন্দ্র সহবাগের টাটকা ব্যাটিং ফর্ম ভারতীয় ক্রিকেট মহলের কোথাও কোথাও এমন প্রশ্নও তুলে দিচ্ছেতা হলে কি এঁরা দু’জন তিরিশ জনের তালিকায় বাইরে থেকেও বিশ্বকাপের দলে ঢোকার দাবিদার হয়ে উঠবেন? যে ব্যাপারে টেকনিক্যালি সমস্যাও নেই। যেহেতু আইসিসি-র নিয়মে প্রাথমিক তালিকার বাইরে থেকেও বিশ্বকাপের দলে ঢোকা যায়।
কোটলায় সহবাগ গুজরাত ম্যাচে সেঞ্চুরি (১০৫) করলেন একেবারে অ-সহবাগচিতো ব্যাটিং করে। তিন নম্বরে নেমে সহবাগ তাঁর পরিচিত কাট মেরেছেন, ড্রাইভ নিয়েছেন, পুল করেছেন। কিন্তু কখনই মাত্রা ছাড়া আক্রমণাত্মক হয়ে দেখা দেননি। ১৪৮ বলের ইনিংসে চোদ্দো বাউন্ডারি থাকসেও কোনও ছক্কা নেই। যা দেখে দিল্লি কোচ বিজয় দাহিয়ার এ দিন মন্তব্য, “আমি মনে করি বীরু কোনও সময় চাপে ছিল না। স্বাভাবিক ব্যাটিং করেছে। ও যদি নিজের স্টাইলে না খেলেও প্রথম শ্রেণির ম্যাচে নিজের চল্লিশ নম্বর সেঞ্চুরিটা করে ফেলতে পারে, তা হলেই বোঝা যাচ্ছে কতটা দায়বদ্ধতা ওর রয়েছে!”
রাজকোটে আবার সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পঞ্জাবের রান-উৎসবে (৬৫৯-৭ ডি.) মনদীপ সিংহের ডাবল সেঞ্চুরি, গুরকিরাতের অপরাজিত শতরানকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে যুবরাজের ১৮২ রানের ইনিংস। সাত ঘণ্টা ছয় মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ২৯৯ বল খেলেন যুবরাজ। ম্যারাথন ইনিংসে ২৩টা চার, এক জোড়া ছক্কা। যুবরাজের এ মরসুমে রঞ্জিতে এটা টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি। যা গত বিশ্বকাপের ম্যান অব টুর্নামেন্ট তাঁর ব্যাটিং ফর্মের মধ্যগগনেও কখনও করেছেন কি না চট করে কারও মনে পড়ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy