বিতর্কিত সেই ছবি।
‘ভদ্রলোকদের খেলাটার জন্য সাজগোজ’ করায় শেষে দুঃখপ্রকাশ করতে হল রজার ফেডেরারকে!
বলতে হল, “আরে বাবা, না না ক্রিকেটে আমি মোটেই পাকিস্তান বিরোধী নই। সবাই জানেন আমি দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থক! যা করেছি স্রেফ স্পনসর সংস্থার অনুরোধে!”
কিন্তু তাঁর শোকাহত পাকিস্তানি ভক্তরা সে কথা মানবেন কেন? ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের দিন ভারত জার্সি হাতে নিজের ছবি টুইট করে টেনিসের রাজা লিখেছিলেন, “ড্রেসিং আপ ফর এ জেন্টলম্যানস গেম টুডে।” সঙ্গে ভারতীয় সমর্থকদের হ্যাশট্যাগ, ‘ব্লিড ব্লু’। পাকিস্তানিরা নাকি বলেছেন, বিশ্বকাপে ভারতের কাছে ষষ্ঠ বার হারার লজ্জায় নুনের ছিটের মতোই জ্বালাময়ী লেগেছে টুইটটা। গড়ে পাকিস্তানের বারো জন ফেডেরার ভক্তের দশ জনই মনে করছেন টেনিস কিংবদন্তি তাঁদের বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পাকিস্তানি ছাত্র তো সংবাদপত্রে লিখেছেন যে, নিজের সংগ্রহে থাকা ফেডেরারের সব ছবি ডিলিট করে ফেলেন ওই টুইটের পর।
এ দিকে, ভারত-পাক ক্রিকেট যুদ্ধে এমন গোলাগুলি বিনিময়ের মধ্যে পড়ে যাবেন, কল্পনাই করতে পারেননি ফেডেরার। চরম অপ্রস্তুত হয়ে বলেছেন, “আমি সত্যিই দুঃখিত। কোথাও কোনও রকম আগুন জ্বালানোর উদ্দেশ্য আমার ছিল না।”
ভারতীয় টিম আর ফেডেরারের ক্রীড়া সরঞ্জাম স্পনসর এক। ফেডেরারের কথায়, “ক’দিন আগেই ভারতে খেলে এসেছি। কয়েক জন ভারতীয় ক্রিকেটারের সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। সে জন্যই আমাকে জার্সিটা উপহার দেওয়া হয়। বিষয়টা যত না ক্রিকেট সংক্রান্ত, তার চেয়ে ঢের বেশি স্পনসর সংক্রান্ত।”
ফেডেরারের মা লিনেট দক্ষিণ আফ্রিকান। সেই সূত্রে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থক। সুযোগ পেলে ক্রিকেটটা দেখেনও। সুইস মহাতারকার কথায়, “অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা বা আমিরশাহিতে থাকলে ক্রিকেটের খবর রাখি।” সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বও নতুন নয়। প্রতিবার নিয়ম করে উইম্বলডনে ফেডেরারের খেলা দেখতে যান সচিন। সেই সূত্রেই ফেডেরারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কি ভারতীয় দলকে একেবারেই সমর্থন করেন না? ফেডেরারের জবাব, “সত্যি বলতে হলে, অল্প অল্প করি।”
শেষ বাক্যটা নিয়ে টাটকা কোনও বিতর্কের খবর অবশ্য এখনও নেই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy