এই মুহূর্তে লিওনেল মেসির পয়লা নম্বর শত্রুর নাম মানসিক ক্লান্তি। টানা ফুটবল খেলতে খেলতে মনটা তাঁর একেবারে হাঁপিয়ে উঠেছে। যে কারণে মাঠে নেমে সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার জন্য নিজেকে তাতাতে পারছেন না আর।
বার্সেলোনা মহাতারকার সাম্প্রতিক অফ ফর্ম নিয়ে এই বিশ্লেষণ যাঁর, তিনি সিজার লুইস মেনোত্তি। ১৯৭৮-এ আর্জেন্তিনাকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া পঁচাত্তর বছরের কোচ সোজা-সাপ্টা বলে দিয়েছেন, “গত কয়েকটা ম্যাচে যা দেখলাম, মেসির মাথাটা একেবারে গুলিয়ে গিয়েছে। মাঠে নেমে স্পষ্ট চিন্তাভাবনা করতে পারছে না। আমার মতে শারীরিক নয়, ও মানসিক ক্লান্তিতে কাবু।” যা কাটিয়ে উঠতে এলএম টেন-কে খারাপ পারফরম্যান্সের হতাশা ঝেড়ে ফেলে বার্সেলোনার হয়ে খেলার আনন্দটা আবার নতুন করে আবিষ্কার করতে হবে, বলেছেন মেনোত্তি। বিশ্বকাপ শুরু হতে আর পুরো দু’মাসও বাকি নেই। এ দিকে, আটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে হেরে বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর গত শনিবার লা লিগায় গ্রানাদার কাছেও হেরেছেন মেসিরা। এবং তুমুল সমালোচনার মুখে মেসির নিজের পারফরম্যান্স। এমনকী দলের প্র্যাক্টিসে তাঁকে হাই তুলতে দেখে রেগে অগ্নিশর্মা বার্সেলোনা সমর্থকেরা। যাঁরা সরাসরি মেসির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করেছেন। আটলেটিকো ম্যাচে মেসিকে উইং-এ খেলানোয় তিনি রেগে বেশি পরিশ্রমই করেননি বলে দাবি করেছেন, বার্সেলোনার প্রাক্তন কোচ রাদোমির আন্তিচ। মেসির সঙ্গে বার্সা কোচ জেরার্ডো মার্টিনোর মনোমালিন্যের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, “মেসি উইংয়ে খেলতে একদম ভালবাসে না। মাঝখান দিয়ে আক্রমণে ওঠাই ওর পছন্দ। আটলেটিকো ম্যাচে ওকে জোর করে উইংয়ে খেলনো হয়। গোটা ম্যাচে ও দৌড়েছে মাত্র ৬.৮ কিলোমিটার। সম্ভবত এটা বোঝাতে যে, তোমরা যদি চাও আমি উইং ধরে দৌড়োই তা হলে সেটাই করব। আর কিছু নয়। ব্যাপারটা অনেকটা রুই ফান গালের কোচিংয়ে রিভাল্ডোর বিদ্রোহের মতো।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy