দলের এক নম্বর স্ট্রাইকারের উপর আর ভরসা রাখতে পারছেন না বাংলার কোচ শিশির ঘোষ। সোমবার রেলওয়েজ ম্যাচে নবীন হেলার পরিবর্তে নীলকান্ত পারিয়া-কার্তিক কিস্কু নতুন জুটি খেলাতে চাইছেন তিনি। গোয়া ম্যাচে নবীনের বদলি হিসাবে দ্বিতীয়ার্ধে নীলকান্তকে নামানোর পরেই তাঁর পাস থেকে গোল করেন স্নেহাশিস দত্ত। শুধু কোচই নন, নবীনের উপর আস্থা হারিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টও। মূলপর্বের প্রথম দু’টো ম্যাচে নবীনের ব্যর্থতাই তাঁর বাদ পড়ার জন্য দায়ী।
রেলওয়েজ ম্যাচ জিততে না পারলে শেষ চারে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে বাংলার। নির্ভর করতে হবে বাকি দলগুলির ম্যাচের ফলাফলের উপর। বাংলার গ্রুপে এখন পর্যন্ত ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সব চেয়ে ভাল জায়গায় রেলওয়েজ। সব দলই গ্রুপে চারটে করে ম্যাচ খেলবে। পঞ্জাব তিনটে ম্যাচই ড্র করেছে। গোয়া ৩ ম্যাচে ৪। তামিলনাড়ু ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট। রেলওয়েজের পর বাংলার শেষ ম্যাচ তামিলনাড়ুর সঙ্গে। সোমবারের ম্যাচে তাই আগে থেকেই সতর্ক বাংলা কোচ।
স্ট্রাইকার সমস্যা তো বটেই, শিশিরের ঘুম কেড়েছে দলের ঢিলেঢালা রক্ষণও। রক্ষণের ভুলেই গোয়া ম্যাচে দু’টো গোল হজম করতে হয়েছে। রক্ষণকে শক্তিশালী করতে সুখদেব মুর্মুর বদলে দীপক সিংহকে খেলানোর কথা ভাবছেন কোচ। শিশির বলেছিলেন, “দু’টো ম্যাচেই নবীনের পারফরম্যান্স খারাপ। খেলতেই পারছে না। রেলওয়েজের সঙ্গে নীলকান্তকে শুরু থেকে খেলাব বলে ঠিক করেছি।” দলের ম্যানেজমেন্টও মনে করছে, পারফরম্যান্স যে দেখাতে পারবে তাকেই সুযোগ দেওয়া উচিত।
গোয়ার সঙ্গে ম্যাচ হারার পর শনিবার রাতে হোটেলে ফিরেই নবীন, স্নেহাশিসদের একহাত নেন শিশির। এ দিন সকালে অনুশীলনে নামার আগেও ফুটবলারদের লম্বা ক্লাস নেন বাংলার কোচ। উল্টো দিকে রেলওয়েজ কোচ সৌরেন দত্ত বললেন, “বাংলার সঙ্গে ম্যাচ জিতে শেষ চারে যাওয়া পাকা করতে চাই আমরা।”