খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনায় কোচ শিশির ঘোষ। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
দুই প্রাক্তন সফল স্ট্রাইকার শিশির ঘোষ এবং বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। একজন বাংলার কোচ, অন্যজন টিডি। অথচ তাঁদের তত্ত্বাবধানে থাকা বাংলা দল ভুগছে স্ট্রাইকার সমস্যা নিয়েই।
সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে ভবানীপুর ক্লাবের অন্যতম স্ট্রাইকার নবীন হেলাকে দলে রেখেও প্রথম ম্যাচে শিশির-বিশ্বজিৎদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তবে নবীনের উপরে আস্থা এখনই হারাচ্ছেন না তাঁরা। তাঁকে রেখেই আজ, শনিবার গোয়ার বিরুদ্ধে বাংলার দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে চাইছে। সচিন গাওয়াসদের মোকাবিলায় নবীনের সঙ্গে কার্তিক কিস্কুকেও কোচ জোড়া স্ট্রাইকার হিসাবে খেলাতে চান। কোচ বলেন, “প্রথম ম্যাচে ভাল খেলতে পারেনি নবীন তা ঠিক। তবে দ্বিতীয় ম্যাচটা দেখা দরকার। আশা করি ভুল শুধরে নিজের খেলাটা ও খেলতে পারবে।” রিজার্ভ বেঞ্চে তেমন নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার না থাকাটাও নবীনের উপর বাংলা নির্ভরশীল হওয়ার কারণ বলে অনেকের ধারণা। মূলত মিডিও হলেও কার্তিক খেলছেন স্ট্রাইকার হিসেবে।
তবে গোয়ার সঙ্গে বাংলা ম্যাচের আগে শুক্রবার নবীন, কার্তিকদের বোঝাতে গলা ফাটাতে হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। এ দিন মাঠে অনুশীলনে না নামলেও সকালে হোটেলের সুইমিংপুল চত্বরে হালকা ব্যায়াম করান কোচ। এর পর প্রথম ম্যাচের ভুলগুলি তুলে ধরে নবীন, কার্তিক, অভিষেক আইচদের শোধরানোর ক্লাস শুরু হয় সুইমিংপুলের ধারেই। ঠান্ডায় সর্দিতে গলা বসে যাওয়ায় জোরে কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল কোচ শিশির ঘোষের। তাতে কী? দ্বিতীয় ম্যাচের আগে নবীনদের চাঙা করতে ভোকাল টনিক, টোটকা দিতে কমতি নেই তাঁর।
“কেন দৌড়ঝাঁপ না করে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে বল পেতে চাইছে নবীন? কেন বল পায়ে তাঁর গতি শ্লথ হয়ে পড়ছে? কেন অপর স্ট্রাইকার কার্তিকের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়ার অভাব হচ্ছে? কয়েক দিন অনুশীলনে উইং দিয়ে বল তুলিয়ে যে অনুশীলন করিয়েছেন তা কার্যকর করতে কেন মাঠে তৎপরতার অভাব হচ্ছে? অন্য ফুটবলাররাও ফরওয়ার্ড লাইনকে সঠিক ভাবে বল সরবরাহ করতে পারছে না কেন?” একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছিলেন তাঁরা। কোচ, টিডি কতটা অসন্তুষ্ট তা কথাতেই টের পাচ্ছিলেন নবীন, কার্তিকরা। স্নেহাশিস দত্ত, সুপ্রিয় ভগৎ, গৌরাঙ্গ বিশ্বাসদেরও সেই ভুল শোধরাতে বলছেন তাঁরা। কোচ একবার থামছেন তো শুরু করছেন টিডি। স্ট্রাইকার সমস্যার পাশাপাশি বাংলার ঢিলেঢালা রক্ষণভাগও নজরে এসেছে। শিশিরের কথায়, “প্রথম দিকে আক্রমণাত্মক খেলার দিকে জোর দেওয়ায় সাইড ব্যাক এবং মিডিওদের উপরে উঠে খেলতে বলছিলেন। তাতে ঢিলেঢালা হয়ে পড়ছিল রক্ষণ।” বিশ্বজিৎ বললেন, “দ্বিতীয় ম্যাচের আগে এক দিন অনুশীলনের দরকার ছিল। তবে সময়ের অভাবে সেটা করা গেল না।”
গোয়া শিবিরেও চোট একাধিক ফুটবলারের। গোলরক্ষক রেগান জুলিয়াও থেকে অধিনায়ক স্টিভেন ফার্নানজেড, ব্যাক স্ট্যানলে দ্যা সিলভার চোট পেয়েছেন। দলের টিডি ভিশ্বাস গোয়ঙ্কর বলেন, “আমরা নিজেদের মতো করেই বাংলার সঙ্গে খেলতে চাইছি। কয়েক জনের চোট থাকলেও আশা করি শেষ পর্যন্ত তাঁরা খেলতে পারবেন।” দুটি ম্যচ থেকে গোয়ার সংগ্রহ হয়েছে ১ পয়েন্ট। বাংলার একটি খেলে ১ পয়েন্ট। তবে পঞ্জাব ম্যাচে বাংলাকে দেখে প্রশংসা করার মতো কিছু খুঁজে পাননি গোয়ার টিডি।
খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনায় কোচ শিশির ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy