Advertisement
E-Paper

সকালেই মনে হচ্ছিল চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারি, বললেন সুনীল

সুনীল ছেত্রীর যাবতীয় সাফল্য দেশের হয়ে। ক্লাবের হয়ে তিনি সাফল্য পান নাফুটবলমহলে চালু এই মিথটাই প্রতিদিন তাঁর জেদ বাড়িয়ে দিত, বেঙ্গালুরুকে চ্যাম্পিয়ন করার পর জানিয়ে দিলেন সুনীল স্বয়ং। “ক্লাবের হয়ে পারফর্ম করতে পারি না, এটা ভুল প্রমাণ করার মোটিভেশন নিয়েই রোজ খেলতে নামতাম। কেন পারব না এই প্রশ্নটাই আমাকে ভাল খেলতে সাহায্য করেছে।” সোমবার গোয়া থেকে বলে দিলেন আই লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইয়ের থাকা ভারত অধিনায়ক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৪৭

সুনীল ছেত্রীর যাবতীয় সাফল্য দেশের হয়ে। ক্লাবের হয়ে তিনি সাফল্য পান নাফুটবলমহলে চালু এই মিথটাই প্রতিদিন তাঁর জেদ বাড়িয়ে দিত, বেঙ্গালুরুকে চ্যাম্পিয়ন করার পর জানিয়ে দিলেন সুনীল স্বয়ং। “ক্লাবের হয়ে পারফর্ম করতে পারি না, এটা ভুল প্রমাণ করার মোটিভেশন নিয়েই রোজ খেলতে নামতাম। কেন পারব না এই প্রশ্নটাই আমাকে ভাল খেলতে সাহায্য করেছে।” সোমবার গোয়া থেকে বলে দিলেন আই লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইয়ের থাকা ভারত অধিনায়ক।

স্বীকার করে নিলেন, মরসুমের শুরুতে নতুন দল বেঙ্গালুরুর লক্ষ্য ছিল অন্তত লিগ টেবিলে ছয়-সাত নম্বর হওয়া। “ডেম্পোর বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে সকালে প্রথম মনে হচ্ছিল আমরাও চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। মনে হচ্ছিল লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব। কোচ অবশ্য বলে দিয়েছিলেন পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে না। এই ম্যাচের কথাই ভাব।”

চাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য অ্যাশলে ওয়েস্টউডের পরামর্শ বেঙ্গালুরুর প্রত্যেক ফুটবলারকে সাহায্য করেছে, মানছেন উচ্ছ্বসিত সুনীল। বলে দিয়েছেন, “প্রথম যখন এই টিমে এলাম তখন কোচ আমাকে চাপে ফেলতে বলেছিলেন, তুমি ভারত অধিনায়ক হতে পার, কিন্তু দলে ঢুকতে হবে ভাল খেলেই। সেই কোচই যখন তিন-চার ম্যাচ গোল পাইনি, তখন পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করেছেন। উনিই ছিলেন টিমের প্রধান মোটিভেটর।”

গতবারের আই লিগের চ্যাম্পিয়ন চার্চিল টিমে ছিলেন। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, ডেম্পোর মতো টিমে খেলেছেন। তা সত্ত্বেও সুনীল বলছেন, “বেঙ্গালুরুর মতো পেশাদার পরিবেশ কোথাও পাইনি। এখানে ম্যানেজমেন্ট থেকে বলবয় সবাই যেন এক সুতোয় বাঁধা। আমাদের ছোট স্কোয়াড। সেখানে কিন্তু নিউট্রিশিয়ান, অ্যানালিস্ট সব ছিল। পেশাদার টিমে যা হয়।”

বেঙ্গালুরুর এই নাটকীয় জয়কে সে জন্যই সম্ভবত জীবনের অন্যতম স্মরণীয় দিন মানছেন ভারত অধিনায়ক। “আমার জীবনে বিশেষ কিছু মুহূর্ত রয়েছে, যার মধ্যে এ বার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা স্পেশাল হিসেবে ঢুকে গেল।” ম্যাচের শেষে দৌড়ে গিয়ে সুনীল একে একে জড়িয়ে ধরছিলেন কোচ-সতীর্থদের। উচ্ছ্বাসে ভাসতে ভাসতে এগিয়ে যান বেঙ্গালুরু থেকে আসা সমর্থকদের দিকেও। কেন এত উচ্ছ্বাস বোঝা গেল একটু পরেই। যখন বললেন, “আমরা যুদ্ধ করেছি। ট্রেনিংয়ে প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছি। সে জন্যই আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। এটা হঠাৎ পাওয়া কোনও সাফল্য নয়। পরিশ্রমের সুফল। আমাদের টিম এ দিন ইতিহাস গড়েছে। আমরাই চ্যাম্পিয়ন অফ ইন্ডিয়া।”

বেঙ্গালুরুকে চ্যাম্পিয়ন করার পিছনে যাঁর ফুটবল মস্তিষ্ক কাজ করেছে, সেই ওয়েস্টউড শাস্তির কবলে থাকায় বসেছিলেন গ্যালারিতে। ফেডারেশন তাঁকে নির্বাসিত করেছে মাঠে গণ্ডগোলের দায়ে। এ দিন ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই দৌড়ে মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন ওয়েস্টউড। নিজের পরিচিত খোলস ছেড়ে ফুটবলারদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মাতেন তিনি। সুনীল, শন রুনিরা তাঁকে মাথায় তুলে লোফালুফি করছিলেন। বেঙ্গালুরু কোচ বলেন, “আমার টিমের একতাই এই সাফল্যের আসল কারণ। যে ভাবে আমাদের টিমের সমর্থকরা সব সময় পাশে ছিলেন এবং সাহায্য করেছেন তাতে আমি কৃতজ্ঞ। এই সাফল্য কারও একার নয়। আশা করি, সবাই এ বার বুঝবে, প্রথম দল গড়ে এই সাফল্য পাওয়াটা কত বড় প্রাপ্তি।”

iLeague sunil chetri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy