মাত্র ৮০ রানে লক্ষ্মী, মনোজ, অরিন্দম, সৌরাশিসরা শেষ। চেন্নাইয়ে বুচিবাবু ট্রফির প্রথম ম্যাচে। উল্টোদিকে অন্ধ্র প্রদেশ। যার নেতৃত্বে সদ্য রাজ্য বদলে আসা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ। শুক্রবার অন্ধ্রের অফ স্পিনার জিভিএস প্রসাদ (৫-২৬) ও মিডিয়াম পেসার ভিশন পাঞ্চালের (৫-৩৭) বোলিংয়ের সামনে মাথা নত করে একের পর এক ফিরে গেলেন বাংলার ব্যাটসম্যানরা।
দু’দিনের ম্যাচ প্রায় অর্ধেক দিনে শেষ। বাংলা ৪২.২ ওভারে ৮০ তোলার পর মাত্র ১৫ ওভারে দশ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল অন্ধ্র। যে উইকেটে আগুন ঝরালেন অন্ধ্রের বোলাররা, সেই উইকেটে একজন ব্যাটসম্যানও ফেরাতে পারেননি কণিষ্ক শেঠ, আমির গনিরা।
মনোজ তিওয়ারি, যিনি ভারতীয় দলে ডাক পাওয়ার আশায় রয়েছেন, তিনি মাত্র দু’রান করে কভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অরিন্দম দাস চারের বেশি পাননি। ক্যাপ্টেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল ৯, উইকেটকিপার শ্রীবৎস গোস্বামী ৮, স্পিনার অলরাউন্ডার সৌরাশিস লাহিড়ী ১০। দলের দুই তরুণ ব্যাটসম্যান কৌশিক ঘোষ ও রোহন বন্দ্যোপাধ্যায় যথাক্রমে ১২ ও ১০। অধিনায়ক লক্ষ্মী ও কোচ জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, দু’জনেরই বক্তব্য, চেন্নাইয়ের গুরু নানক কলেজ গ্রাউন্ডে এমনই ঘূর্ণি উইকেট ছিল যে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কিছু বোঝার আগেই ৩০-৪ হয়ে যায়।
লক্ষ্মী চেন্নাই থেকে এ দিন ফোনে বলেন, “উইকেটটা শুরুর দিকে এমন স্কোয়ার টার্নার ছিল যে আমরা ওদের স্পিন সামলাতে পারিনি। কেউই ভাল ব্যাট করতে পারলাম না।” জয়দীপ বলেন, “ওরা ব্যাট করতে নেমে বল পুরনো হওয়ার আগেই ১৫ ওভারে পিটিয়ে রানটা তুলে নেয়। আমাদের এত কম রান ছিল যে, লড়াই করাই গেল না। অন্তত দেড়শো তুলতে পারলেও বোধহয় লড়া যেত।” পরের ম্যাচ এই মাঠেই তামিলনাড়ু প্রেসিডেন্ট একাদশের বিরুদ্ধে, সোমবার থেকে। যাতে দলে কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন কোচ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy