Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Baishakhi Banerjee

রায়চকের ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ বৈশাখীর, জুড়লেন অনুব্রতর নাম

জানিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯ ২১:৩৪
Share: Save:

রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। এই মর্মে অভিযোগ জানিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, শাসক দল তৃণমূলের প্রশ্রয়েই যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সে কথাও লিখিত ভাবে কমিশনকে জানিয়েছেন তিনি।

প্রায় দু’দিন ঘেরাও থাকার পর মঙ্গলবার ভোরে রায়চকের বাংলো থেকে মা, মেয়েকে নিয়ে বাইরে বার হতে পেরেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। এ দিন সকালেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় রায়চকের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বিভিন্ন অভিযোগ জানিয়েছেন কমিশনকে। বৈশাখীর কথায়: “পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়ে কিছু হয়নি। তাই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আশা করি নিশ্চয়ই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়চকে গিয়েছিলেন বৈশাখী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা, মেয়ে এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, ওই দিন রাত থেকেই এক দল লোক শোভন-বৈশাখী যে বাংলোয় ছিলেন তার বাইরে চড়াও হন। বাংলো ঘেরাও করে রেখে অশ্রাব্য গালিগালাজের পাশাপাশি শোভন-বৈশাখীর নাম করে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত চলে সেই হুমকি-শাসানি। পুলিশকে ফোন করেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন বৈশাখী। পরে শ’দেড়েক দুষ্কৃতীর জন্য মাত্র তিন জন পুলিশ কর্মী পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে তাঁরা ওই বাংলো থেকে বার হতে পারেন। তার পরেই নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখে গোটা ঘটনার কথা জানান বৈশাখী।

আরও পড়ুন: রায়চকে ‘সশস্ত্র দুষ্কৃতী’দের হাতে ঘেরাও শোভন-বৈশাখী, আটকে রয়েছেন বাংলোর ভিতরে​

আরও পড়ুন: যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত ভারতীয়ের সঙ্গে ৩০০ কোটি টাকার চুক্তি করেছিল গুগল!​

নিজেদের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি এমন পরিস্থিতির জন্য যে শাসকদল তৃণমূলই দায়ী, সে কথাও কমিশনকে পাঠানো অভিযোগপত্রে লিখেছেন ওই কলেজ শিক্ষিকা। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম করে ওই চিঠিতে বৈশাখী লিখেছেন, প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছেন অনুব্রতর মতো নেতারা।

রায়চকের ঘটনায় শোভন চট্টোপাধ্যায় যথেষ্ট অসন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল। শোভন এখনও বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক। ঘটনার পর তিনি নিজে জেলা পুলিশ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন করেছিলেন। কিন্তু তার পরেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ বৈশাখীর।

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE