গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।
আচমকা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল ‘অস্থিকলস যাত্রা’। প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর চিতাভষ্ম নিয়ে গঙ্গাসাগর যাওয়ার কর্মসূচি বিজেপি কেন পিছিয়ে দিল, তা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার জানা গিয়েছেন, ‘তিন’ পা পিছিয়ে আসার পরে ‘পাঁচ’ পা এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। গঙ্গাসাগরে অস্থি বিসর্জনের তারিখ তিন দিন পিছিয়ে গিয়েছে। কিন্তু শুধু গঙ্গাসাগরে নয়, বাংলার পাঁচটি জায়গায় অটলবিহারী বাজপেয়ীর অস্থি বিসর্জন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি।
প্রথমে জানানো হয়েছিল, রবিবার দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছবে অস্থিকলস। সোমবার কলকাতার দলীয় দফতর থেকে সড়কপথে তা পৌঁছবে গঙ্গাসাগরে। মঙ্গলবার সাগরসঙ্গমে চিতাভষ্ম বিসর্জন দেওয়া হবে। কিন্তু রবিবার সকালে জানানো হয়, কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জানা গিয়েছে যে, কর্মসূচি চূড়ান্ত করে ফেলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তিন দিন পিছিয়ে গিয়েছে অস্থি বিসর্জনের তারিখ। মঙ্গলবারের বদলে শুক্রবার গঙ্গাসাগরে অস্থি বিসর্জন দেওয়া হবে। কিন্তু শুধু গঙ্গাসাগরে সীমাবদ্ধ থাকবে না এই কর্মসূচি। রাঢ়বঙ্গ, মধ্যবঙ্গ, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে মোট পাঁচটি জায়গায় অস্থি বিসর্জন দেওয়া হবে।
যে পথে ‘অস্থি কলস যাত্রা’। গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ
আরও পড়ুন: ‘প্রকৃত কংগ্রেস’ হলে তৃণমূলে আসুন: অভিষেক
গঙ্গাসাগর ছাড়া কোথায় কোথায় অস্থি বিসর্জন হচ্ছে?
আনন্দবাজার ডিজিটালকে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠ, ফরাক্কা এবং কোচবিহারে প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর অস্থি বিসর্জন দেওয়া হবে। তবে নবদ্বীপ, ত্রিবেণী, শিলিগুড়ি— এই তিনটি জায়গার নামও আলোচনায় রয়েছে। সায়ন্তন এখন দিল্লিতে। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও মঙ্গলবার রাতে দিল্লি পৌঁছচ্ছেন। বুধবার দিলীপ এবং সায়ন্তন অস্থিকলস নিয়ে কলকাতায় আসবেন। সায়ন্তন বললেন, ‘‘দুপুর আড়াইটের উড়ানে আমরা কলকাতায় ফিরছি। অর্থাৎ, বুধবার সন্ধ্যার আগেই দলীয় দফতরে পৌঁছে যাবে বাজপেয়ীজির চিতাভষ্ম। রাতে সেখানেই রাখা থাকবে কলস। বৃহস্পতিবার সকালে দলীয় দফতর থেকে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু হবে। শুক্রবার সকালে সাগরসঙ্গমে অস্থি ভাসানো হবে।’’ বাকি চারটি অস্থিকলস সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির কার্যকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠ, ফরাক্কা এবং কোচবিহারে অস্থিকলস বিসর্জনের তারিখ জেলাগুলির নেতৃত্বই স্থির করবে বলে সায়ন্তন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঝুলেই রইল পঞ্চায়েত-রায়, ভোট কি অবৈধ? প্রশ্ন আদালতের
গঙ্গাসাগর, দক্ষিণেশ্বর এবং ফরাক্কায় অস্থি ভাসানো হবে গঙ্গাতেই। তারাপীঠে যদি অস্থি নিয়ে যাওয়া হয়, তা হলে শ্মশানের নিকটবর্তী দ্বারকায় এবং কোচবিহারে নিয়ে যাওয়া হলে তোর্সায় চিতাভষ্ম ভাসানো হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। যদি ত্রিবেণী এবং নবদ্বীপে অস্থিকলস নিয়ে যাওয়া হয়, তা হলে সেখানেও গঙ্গাতেই চিতাভষ্ম ভাসানো হবে। শিলিগুড়িতে হলে অস্থি বিসর্জন হবে মহানন্দার জলে। দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই বাজপেয়ীর চিতাভষ্ম বিসর্জনের কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। তবে বেশির ভাগ রাজ্যেই একটি করে জায়গায় অস্থি বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ অবশ্য আগেই জানিয়েছিল যে, সে রাজ্যের সব নদীতে অটলবিহারী বাজপেয়ীর চিতাভষ্ম বিসর্জন দেওয়া হবে। এ বাংলার ক্ষেত্রেও প্রায় সে পথেই হাঁটল বিজেপি। বাজপেয়ীর অস্থিকলস নিয়ে রাজ্যের সব প্রান্তে পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy