তৃণমূলের নতুন মাস্ক। —নিজস্ব চিত্র
বাজার এখন করোনার। সংক্রমণের আশঙ্কায় মাস্ক তাই বাকি দেশের মতো বঙ্গ জীবনেরও অঙ্গ। বরাবর রাজনীতিও তা-ই। এ বার রোগ-যুদ্ধের ঢাল সেই মাস্ক রাজনীতির কৌশল-গুণে হয়ে উঠছে প্রচারের হাতিয়ার!
নবান্নে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিধানের মাস্কে ছিল বাংলার মানচিত্রের ছবি। প্রশাসনিক স্তরে আমলারা ব্যবহার করছেন এক ধরনের মাস্ক, যেখানে লেখা থাকছে ‘জয় বাংলা’। আবার শাসক দলের নেতা-কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ‘জিতবে বাংলা’ বার্তা সংবলিত আরও এক রকমের মাস্ক।
আগামী বছরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। শাসক কুল বিলক্ষণ জানে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার বৃত্তান্ত ভোটের ময়দানেও উঠে আসবে। তাই মহামারি ও দুর্যোগে বাংলার মানুষের সহায় হয়ে সরকার এবং শাসক শিবির দাঁড়িয়েছে, এই বার্তাকে মাস্কের মাধ্যমে তুলে নিয়ে আসার এমন ভাবনা।
আরও পড়ুন: পুরসভার কাজ চালাবেন ফিরহাদ হাকিমরাই, শীর্ষ আদালতে জয় নবান্নের
আরও পড়ুন: দুর্যোগে ‘সাফল্য’, দাবি দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের
শাসক দলের আগেই বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে অবশ্য দেখা গিয়েছে সরাসরি তাঁর দলীয় প্রতীক আঁকা মাস্ক পরে সামনে আসতে। লকডাউনের মেয়াদ যত বেড়েছে, দিলীপবাবুদের মাস্কের ‘পদ্ম’ ততই বড় আকার নিয়েছে! দুর্যোগ হোক বা রোগ-বালাই, দলীয় প্রচারের সুযোগ যে তাঁরা হাতছাড়া করতে চান না, বিজেপির কাজকর্মে তা খুবই স্পষ্ট। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য দলে পরামর্শ দিয়েছেন, মাস্কে এখন প্রতীক ব্যবহারের দরকার নেই। বরং, সূক্ষ্ম বার্তাই ভাল। বাংলা ও রাজ্যের মানুষের সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করেই দেখাতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শাসক দলের এক নেতার কথায়, ‘‘প্রথমে করোনা, তার পরে আমপান। এই সঙ্কটের সময়ে বাংলা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমার্থক। তাই বাংলার কথাই আমরা বলছি।’’
মানুষ অবশ্য বুঝছেন, এখন মাস্ক দিয়েও যাবে চেনা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy