Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Adhir Ranjan Chowdhury

সংবিধান বাঁচাতে লড়াই বেনজির, বলছেন অধীর

মুর্শিদাবাদের ব্লকে ব্লকে সভা করার পরে এখন দক্ষিণবঙ্গের নানা জেলায় সিএএ এবং এনআরসি-র প্রতিবাদে সমাবেশ করছেন বহরমপুরের সাংসদ।

হাওড়ার সভায় অধীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার।—নিজস্ব চিত্র।

হাওড়ার সভায় অধীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২০ ০২:০৬
Share: Save:

বিরোধিতা বা প্রতিবাদ হয়েছে বিস্তর। নিজস্ব পরিচিতি পাওয়ার জন্য আন্দোলন বা রুটি-রুজির জন্য লড়াইও হয়েছে অনেক। কিন্তু দেশের সংবিধান বাঁচানোর জন্য সাধারণ মানুষের এমন দুর্বার আন্দোলন অতীতে কখনও হয়নি বলে মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী।

মুর্শিদাবাদের ব্লকে ব্লকে সভা করার পরে এখন দক্ষিণবঙ্গের নানা জেলায় সিএএ এবং এনআরসি-র প্রতিবাদে সমাবেশ করছেন বহরমপুরের সাংসদ। বাদুড়িয়া ও বসিরহাটে বুধবার সমাবেশ করার পরে বৃহস্পতিবার দিনভর তাঁর সভা ছিল হাওড়ার মোল্লাপাড়া এবং মধ্য কলকাতার মেহেদি বাগানে। মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে আজ, শুক্রবার সভা করে শনিবার তাঁর যাওয়ার কথা বর্ধমানে। এই কর্মসূচির অবসরেই এ দিন অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘‘এখন যা চলছে, সেটা একেবারে সাধারণ মানুষের আন্দোলন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাতে নিজেদের মতো করে অংশগ্রহণ করছে। প্রতিবাদের জন্য বা রুটি-রুজির জন্য অনেক রকম আন্দোলন আগে হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পরে সংবিধান বাঁচানোর এমন লড়াই কখনও হয়নি। আমরা অভিভূত!’’ জেলার কংগ্রেসের আয়োজনে অধীরবাবুর প্রতি সভাতেই ভিড় হচ্ছে চোখে পড়ার মতো।

তবে সিএএ, এনআরসি বা এনপিআর-এর বিরোধিতা করলেও সামগ্রিক বয়কট খুব কাজের কথা নয় বলেই মনে করছেন অধীরবাবু। তাঁর যুক্তি, ‘‘কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও সব মুখ্যমন্ত্রীকে ‘সুবিবেচিত সিদ্ধান্ত’ নিতে বলেছেন। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা এনআরসি এবং এনপিআর নিয়ে নানা কথা বলে এখন পা পারছেন গিলতে, না পারছেন উগরোতে! কেন্দ্রীয় সরকার সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে, সরকারি নথিতে কী বলছে, সেটা হাতে নিয়ে বিরোধিতার যুক্তি সাজানো যাবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের ডাকা এনপিআর নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের বৈঠক বয়কট করে রাজনৈতিক বাহবা নিয়ে কী হবে!’’

দিল্লির ‘রাইসিনা ডায়লগ’-এর মতো কলকাতায় ‘রাজভবন ডায়লগ’-এর পরে বেআইনি অর্থলগ্নি কারবারের তদন্তে সিবিআই আধিকারিকদের বদলি করা হচ্ছে বলে অধীরবাবুর অভিযোগ। তাঁর দাবি, সিবিআইয়ের যখন জাল গুটিয়ে আনার কথা, তখন প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরে আধিকারিকদের পাততাড়ি গুটোতে বলা হচ্ছে! সেই সঙ্গেই অধীরবাবুর মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী স্বাভাবিক ব্যাপারকে অস্বাভাবিক এবং অস্বাভাবিককে স্বাভাবিক করে তুলেছেন বলেই তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন ওঠে! প্রধানমন্ত্রী মোদী বা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বৈঠক তো আমিও করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE