সুরঞ্জন দাস
উপাচার্যের চেয়ারে বসেই তিনি দফতরের সিসি ক্যামেরা সরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে বারে বারেই বলে আসছেন, ক্যাম্পাসে মুক্ত পরিবেশ চান তিনি। এ বার কিন্তু ক্যাম্পাসে বহিরাগত রুখতে সিসি ক্যামেরা বসানো যায় কি না, তা নিয়ে ভাবছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে বৈঠক ডেকেছেন তিনি।
যাদবপুর ক্যাম্পাসে বহিরাগতের প্রবেশ এবং মদ-মাদক সেবনের সমস্যা দীর্ঘদিনের। ২০১৭ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন যাদবপুরের এক পড়ুয়া। সেখানে উপস্থিত সুরঞ্জনবাবুর সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘ক্যাম্পাসে বহিরাগত ঢুকবে কেন? প্রত্যেক পড়ুয়ার পরিচয়পত্র থাকা উচিত।’’
হালে রাত ৮টার পরে ক্যাম্পাসে ঢোকার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু তারই মধ্যে অভিযোগ উঠছে, রবিবার কিছু বহিরাগত ক্যাম্পাসে ঢুকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বা টিএমসিপি-র পতাকা ছিঁড়ে দিয়েছে। পতাকার উপরে মূত্রত্যাগও করা হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনার প্রতিবাদে টিএমসিপি-সমর্থক কিছু পড়ুয়া সোমবার উপাচার্যের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
পরে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠকে বসেন। উপাচার্য জানান, যা ঘটেছে, তাঁরা তার নিন্দা করছেন। অভিযোগ উঠেছে, যারা পতাকা ছিঁড়েছে, তারা চার নম্বর গেট দিয়ে ঢুকেছিল। সেই গেটের রক্ষীদের ডেকে প্রশ্ন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে মহিলা রক্ষীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আলোচনা হয়েছে মদ-মাদক প্রতিরোধ নিয়েও। এর পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা লাগানো যায় কি না, সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। উপাচার্য বলেন, ‘‘ক্যাম্পাসে মুক্ত পরিবেশ সব সময়েই চাই। তবে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন আছে কি না, সেই বিষয়েও ভাবছি আমরা। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে আগামী সপ্তাহে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে হবে। আলোচনা হবে সিসি ক্যামেরা নিয়েও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy