পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
এক সময় জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরানোর অন্যতম কারিগর হিসেবে তাঁর প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী কালে পশ্চিম মেদিনীপুরের সেই প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় রাজ্যের। তার পরে খোদ মমতা মেনেছিলেন, লোক চিনতে ভুল হয়েছিল।
সেই ভারতী এ বার লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী। জঙ্গলমহলে ভোট প্রচারে এসে এ বার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলনেত্রীর সুরেই বললেন, ‘‘এরা যে এত বড় ধাপ্পাবাজ হবে, মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করবে, উর্দি পরে গুন্ডাগিরি করবে, এটা বুঝতে সময় লেগেছে।’’
ঝাড়গ্রাম লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী বিরবাহা সরেনের সমর্থনে ঝাড়গ্রাম জেলায় তৃণমূলের প্রথম নির্বাচনী জনসভা ছিল বৃহস্পতিবার। গোপীবল্লভপুরের সেই সভায় অবশ্য ভারতীর নাম নেননি পার্থ। প্রাক্তন আইপিএস-কে ‘জঙ্গল-কুইন’ মুকুল রায়কে ‘কমল রায়’ বলে কটাক্ষ করে পার্থ বলেন, ‘‘গদ্দার জঙ্গলের কুইন আপনাদের সর্বনাশ করেছেন। তিনি এখন ফেট্টি বেঁধে ঘুরছেন। আমরা সময়মতো এদের চিনতে পারিনি। আমাদের দল ও সরকার এঁদের বিশ্বাস করেছিল, তার জন্য আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’’ পার্থের আরও বার্তা, ‘‘ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আমাদের মধ্যে থেকে আবার কেউ যাতে না করতে পারে সে ব্যাপারে সর্তক থাকবেন। তেমন কিছু লক্ষ করলে আমাদের জানাবেন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ভারতী বলেছেন, ‘‘জঙ্গলমহলে ৬ বছর কাজ করেছি। ওই ৬ বছর মুখ্যমন্ত্রী ও পার্থবাবু তা হলে অন্ধ ও কানা ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বারবার জঙ্গলমহলে এসেছেন, লোকে তাঁকে নানা অভাব-অভিযোগ জানিয়েছেন। তা হলে তখন কেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হল না! যখন বলললাম তোমার সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত, আর থাকব না, তখনই মুখ্যমন্ত্রী ও পার্থবাবুর চোখ-কান গজিয়ে উঠল।’’
গোপীবল্লভপুরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আদি বাড়ি। এ দিন তাই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান পার্থ। গোপীবল্লভপুর যাত্রা ময়দানের এই সভায় কয়েকশো বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। মঞ্চে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে পার্থের কটাক্ষ, ‘‘দিলীপবাবু কবে তৃণমূলে যোগদান করবেন সেই আবেদন তাঁকে করতে হবে। তিনি তাঁর এলাকায় ঢুকতে পারছেন না। দিলীপবাবুর ভাই ও ভাইপো তাঁর বিরুদ্ধে চলে গিয়েছেন।’’ দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের পরে কালীঘাটে তৃণমূলের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে, পার্থবাবুরা ঠিক করুন তাঁরা কোন দলে যাবেন। আমাদের দরজা খোলা আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy