প্রতীকী ছবি।
‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা’য় জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনের অন্তর্গত মানুষকে আগামী তিন মাস বিনামূল্যে মাথাপিছু ৫ কেজি চাল এবং পরিবারপিছু এক কেজি ডাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলায় জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনে ৬ কোটি মানুষ রয়েছেন। তাঁদের সকলের এই চাল ও ডাল পাওয়ার কথা। রাজ্য সরকার এ নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, রাজ্যই মাসে জনপ্রতি ৫ কেজি চাল দেবে।
খাদ্য দফতর জানাচ্ছে, রাজ্যের ৬ কোটি মানুষ কেন্দ্রীয় বরাদ্দে ২ টাকা কেজি চাল পান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আরও ২.৪৪ কোটি মানুষকে রাজ্যের খরচে ২ টাকা কেজি চাল-গম দেন। এখন মোদীর ঘোষণা মতো চাল-ডাল এ রাজ্যের অতিরিক্ত ওই আড়াই কোটি লোককেও দিতে হলে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা খরচ। অর্থ দফতর এই টাকার সংস্থান করতে অপারগ বলে নবান্ন সূত্রের বক্তব্য।
ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এফসিআই) অবশ্য রাজ্যকে ৬ লক্ষ টন চাল ও ডাল বিনামূল্যে দিতে চেয়েছে। রাজ্য লিখিত সম্মতি না দিলেও ৫০ হাজার টন চাল পাঠিয়ে দিয়েছে তারা। আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা নাফেড থেকে রাজ্যে ডাল ঢোকার কথা ২৫ এপ্রিল। কিন্তু নবান্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের চাল-ডাল বিলির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমতাবস্থায় এফসিআইও বিড়ম্বনায়।
রেশন নিয়ে অভিযোগ
• বিনামূল্যে যাঁদের রেশন পাওয়ার কথা, তাঁদের যতখানি পাওয়ার কথা তার থেকে কম পরিমাণে চাল, আটা দেওয়া হচ্ছে।
• যাঁরা ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু এখনও কার্ড হাতে পাননি, তাঁদের ‘ফুড কুপন’ দেওয়ার কথা। সব জায়গায় সেই কুপন পৌঁছয়নি।
• আটার মান ভাল নয়।
• ‘আরকেএসওয়াই ২’ রেশন কার্ড গ্রাহকেরা (চাল ১৩ টাকা কেজি ও গম ৯ টাকা কেজি দরে পাওয়ার কথা যাঁদের) পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন না।
• রেশন দোকানের সামনে বিধি মেনে কোন জিনিস, কতটা মজুত রয়েছে এবং কী দরে তা পাওয়া যাবে, তা জানানোর বোর্ড নেই।
• রেশনের জিনিস পাচার করায় অভিযুক্ত ডিলারদের একাংশ।
কেন্দ্রের বরাদ্দ অতিরিক্ত চাল এফসিআইয়ের গুদামে এসে পড়ে রইলেও তা জেলা খাদ্য দফতর থেকে তোলা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের। জেলা খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় জানান, এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশ আসেনি। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে বিজেপি সাংসদ জন বার্লার অভিযোগ, উত্তরবঙ্গে রেশন কার্ড আছে এবং নেই, এই দু’ধরনের মানুষই খাদ্যসামগ্রী পেতে সমস্যায়। গরিব মানুষ কেন প্রাপ্য চাল-ডাল পাচ্ছেন না, প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী ও কংগ্রেসের সোমেন মিত্রও।
আরও পড়ুন: সমস্যা জানিয়ে গুচ্ছ চিঠি বিরোধীদের
আরও পড়ুন: বিজেপি সাংসদদের পক্ষে সরব ধনখড়, ক্ষুব্ধ তৃণমূল
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy