বিজ্ঞপ্তি জারির পরে কেটেছে তিন দিন। জেলায় জেলায় কলেজে অফলাইনে ভর্তি কিন্তু চলছে!
কলেজে ভর্তিতে লেনদেনের চক্র ভাঙতে অনলাইনে টাকা জমার ব্যবস্থা হয়েছে। নতুন নিয়মে কাউন্সেলিংয়ের জন্যও পড়ুয়াদের কলেজে যেতে হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরে গত মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শিক্ষা দফতর। তার পরেও বহু কলেজে দেখা যাচ্ছে অন্য ছবি।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নাড়াজোল রাজ কলেজ গিয়ে দেখা গেল, অফলাইনে ভর্তি চলছে। এঁদের কারও মেধাতালিকায় নাম রয়েছে, অনেকে আবার নির্দিষ্ট সময়ে ফর্ম পূরণই করেননি। কলেজে এসে সরাসরি ভর্তি হয়ে যাচ্ছেন। চলছে শংসাপত্র যাচাইয়ের কাজও। এক পড়ুয়া মানলেন, “আগে ফর্ম না ভরেও দিব্যি ভর্তি হলাম। কড়াকড়ির মাঝেও সবই তো হচ্ছে দেখছি।”
কিন্তু হচ্ছেটা কী ভাবে? নাড়াজোল কলেজের টিচার-ইনচার্জ রণজিৎ খালুয়ার দাবি, “যান্ত্রিক ত্রুটিতে ওয়েবসাইটের মেধা তালিকায় অনেকের নাম তোলা যায়নি। আসনও খালি আছে। তাই ভর্তি নেওয়া হচ্ছে।” তাঁর মতে, ‘‘আমাদের প্রত্যন্ত এলাকা। এত নিয়ম মানা সম্ভব নয়।’’
ঘাটাল কলেজ, চন্দ্রকোনা কলেজ এবং চাঁইপাট কলেজেও অফলাইনে ভর্তি চলছে। ঘাটাল কলেজের টিচার-ইনচার্জ লক্ষ্মীকান্ত রায়ের যুক্তি, “এত কম সময়ে নয়া ব্যবস্থা চালু হলে পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়বেন। তাই কিছু ক্ষেত্রে অফলাইনেও ভর্তি নিতে হচ্ছে।”
নিয়মভঙ্গের ছবি আলিপুরদুয়ার, পূর্ব বর্ধমানেও। আলিপুরদুয়ারের বিবেকানন্দ কলেজে বৃহস্পতিবার ছাত্রছাত্রীদের নথিপত্র যাচাই হয়েছে। একই ছবি বর্ধমান রাজ কলেজেও। বিবেকানন্দ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোবিন্দ রাজবংশীর ব্যাখ্যা, ‘‘কিছু ছাত্রছাত্রীকে নথি যাচাইয়ের দিন জানানো হয়েছিল৷ দুর্ভোগ এড়াতেই এই ব্যবস্থা।’’ বর্ধমান রাজ কলেজের অধ্যক্ষ নিরঞ্জন মণ্ডলের দাবি, “চার হাজার পড়ুয়াকে ভর্তি করতে হবে। ক্লাস শুরুর পরে নথি যাচাই করতে গেলে ১০ দিন পড়া নষ্ট হবে। তাই কাজটা এগিয়ে রাখছি।’’
কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতির অভিযোগে পথে নেমেছে বিরোধীরা। এ দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। তবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফোন ধরেননি, জবাব দেননি মেসেজের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy