Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

কলকাতায় কন্যাশ্রী কম কেন, তাগাদা দফতরের

২০১৮-১৯ সালের জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্তিকরণে রাজ্যে সব থেকে পিছিয়ে রয়েছে কলকাতা জেলা। ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১৬.৭৮ শতাংশ ছাত্রীর নাম নথিভুক্ত হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মধুমিতা দত্ত
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:০৬
Share: Save:

কন্যাশ্রী প্রকল্পে ছাত্রীদের নাম নথিভুক্তিকরণ কলকাতায় আশানুরূপ হচ্ছে না। তাই স্কুলগুলিকে এই কাজ দ্রুত করার জন্য অষ্টম বার নির্দেশ পাঠালেন কলকাতার জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)। প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০১৮-১৯ সালের জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্তিকরণে রাজ্যে সব থেকে পিছিয়ে রয়েছে কলকাতা জেলা। ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১৬.৭৮ শতাংশ ছাত্রীর নাম নথিভুক্ত হয়েছে।

১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী, অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তার জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে এত দিন বছরে এককালীন ৭৫০ টাকা করে দেওয়া হত। চলতি বছরে তা বেড়ে ১

হাজার টাকা করা হয়েছে। ১৮ বছর পেরনোর পর সেই ছাত্রী আরও পড়াশোনা করলে এবং বিয়ে না করলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আগে পরিবারের আয় বার্ষিক দেড় লক্ষ টাকার কম হলে কন্যাশ্রীর টাকা পাওয়া যেত। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী পারিবারিক আয়ের বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছেন। ফলে এই প্রকল্পের সুবিধা আগে পেত ২৪ লক্ষ ছাত্রী, এখন সম্ভাব্য প্রাপকের সংখ্যা ২৮ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে কলকাতাতেই রয়েছে ৮৯ হাজার ছাত্রী। আগে এই সংখ্যাটি ছিল ৩৪ হাজার।

তা হলে কলকাতায় নথিভুক্তি এত কম হল কেন? এই প্রকল্পের জন্য ছাত্রীদের সম্পূর্ণ তথ্য ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল স্কুলশিক্ষা দফতর। বাঁকুড়া জেলায় ৮৯.৩০ শতাংশ নথিভুক্তিকরণ হয়েছে। কলকাতা পিছিয়ে থাকার কারণ ব্যাখ্য করতে গিয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্যের বক্তব্য, পারিবারিক আয়ের বিধিনিষেধ থাকার সময় ওই গোত্রের আওতাধীন সব ছাত্রীই আবেদন করতে আগ্রহী ছিল। বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পরে বর্ধিত পরিধির সবাই কিন্তু আবেদন করতে চাইছে না। সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া নাগের মতে, তাঁর স্কুলে কন্যাশ্রীর আবেদনে মিশ্র সাড়া

পাওয়া যাচ্ছে। স্বচ্ছল পরিবার থেকে আসা ছাত্রীদের থেকে সাড়া তুলনায় কম। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল আবার দাবি করেন, ‘‘সরকারের প্রতি অনাস্থায় এমন ঘটনা ঘটছে কিনা, তা-ও দেখা দরকার।’’

স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়াতে ইতিমধ্যে কলকাতার পাঁচটি বরোতে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে সচেতনতা সভা করা হয়েছে। কয়েকটি স্কুলের প্রধানেরা জানিয়েছেন, স্কুলের পরীক্ষা, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে টেস্ট চলার জন্য আবেদন করার সময়-সুযোগ ছিল না। এ বার দ্রুত ছাত্রীদের নাম নথিভুক্তকরণের কাজ সেরে ফেলা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE